নিজেদের সাধ্য অনুযায়ী মাত্র পাঁচটি কম্বল দিতে চেয়েছিলেন বাড়ির পাশের কয়েকজন নিম্নবিত্ত মানুষদেরকে। রাতের খাবার খাওয়ার সময় ছোট ভাইকে নিয়ে এমন সিদ্ধান্তও নেন তিনি। তবে পাঁচ নয়, ১০ নয়, ২১৭টি পরিবারের বাড়ি গিয়ে শীতবস্ত্র পৌঁছে দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী। দর্শন বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের ওই শিক্ষার্থীর নাম মিজানুর রহমান রানা।
Advertisement
এই শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম শেষ হয় বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি)। এর আগে গত পাঁচ জানুয়ারি শুরু হয় কার্যক্রমটি। প্রথম ধাপে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত ৭৯টি কম্বল পৌঁছে দেয়া হয় কুড়িগ্রামের জগমনের চর, কুড়ার পাড় আর ক্লিনিক পাড়া এই তিনটি গ্রামের ৭৯টি পরিবারের কাছে।
কম্বল দিতে গিয়ে দেখেন গ্রামগুলোর শিশুদের জবুথবু অবস্থা। পরের ধাপে গতকাল পর্যন্ত ৮৫টি পরিবারের মাঝে শিশুদের বিতরণ করা হয় ১৩৮টি শীতবস্ত্র।
উদ্যোগের বিষয়ে রানা বলেন, কুড়িগ্রামে শীতের প্রকোপ তুলনামূলক বেশি। তাছাড়া ধরলা নদীর ভাঙনে বিলীন পরিবারগুলো খুবই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে আছে। ভাঙন পরবর্তী সময়ে গ্রামের অধিকাংশ মানুষ সবকিছু হারিয়ে নিতান্তই খারাপ অবস্থার মধ্যে আছে।
Advertisement
রানা জানান, শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানোর চিন্তা থেকে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। প্রায় ৯৫ হাজার টাকা মূল্যের এই অনুদান এসেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচারণার মাধ্যমে। এই কার্যক্রমে এগিয়ে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাবেক শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, চিকিৎসকসহ নানা পেশার মানুষ। তাদের সহযোগিতায় এটি সম্ভব হয়েছে। হতদরিদ্র মানুষগুলো মুখে হাসি দেখে আনন্দ পেয়েছেন বলেও জানান তিনি। সালমান শাকিল/এসএমএম/জিকেএস