মুখ ও মাথার ত্বকে ব্রণ হওয়ার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন, যা অত্যন্ত ব্রিবতকর ও বিরক্তির কারণ। মুখে ব্রণ হলে তার দাগ থেকে যায়; যা দেখতে বাজে লাগে। অন্যদিকে মাথার ত্বকে ব্রণ হলে অন্যরা দেখতে পারে না ঠিকই; কিন্তু চুল আচড়ানোর সময় ব্যথা লাগে। সেই সঙ্গে চুল পড়তে থাকে আক্রান্ত স্থান থেকে।
Advertisement
অনেকেই এসব সমস্যা দূর করতে কেমিক্যালযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করেন। তার আগে জানতে হবে, কেন ত্বকে ব্রণ হচ্ছে? কারণ জেনে তারপর প্রতিরোধ করুন এ সমস্যা। অনেক সময় ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকের কারণে ব্রণ হয়; আবার মাথার ত্বকে হয় ফলিকুলাইটিস নামক ব্রণ। চলুন জেনে নেয়া যাক কোন ব্রণ কী কারণে হয়-
ব্যাকটেরিয়া ব্রণ
ব্যাকটেরিয়া ব্রণ ছোট বা বড় আকারে হতে পারে। এর মধ্যে পুঁজ বা অনেক সময় শক্ত শালের মতো হয়ে পেকে যায়। ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইটহেডসগুলো কিন্তু ব্যাকটেরিয়া একনির মধ্যেই পড়ে। অতিরিক্ত সিবাম আপনার ত্বকের লোমকূপের গোড়ায় আটকে যায়। তখনই এ সমস্যাগুলো হয়।
Advertisement
লোমকূপের গোড়ায় ব্যাকটেরিয়া বাড়তে শুরু করলেই ত্বকে ব্ল্যাকহেডস বা হোয়াইটহেডস সমস্যা বাড়ে। সাধারণত মুখের টি-জোন এবং ঘাড়ে ব্যাকটেরিয়া ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এগুলোর চিকিৎসায় রেটিনল, বেনজয়াইল পেরক্সাইড এবং স্যালিসিলিক এসিডের মতো ক্রিম ব্যবহারের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
ফাঙ্গাল বা ছত্রাক ব্রণ
মালাসেসিয়ার কারণে ছত্রাক ব্রণ দেখা দেয়। হোয়াইটহেডস ও ছোট ছোট ব্যথাযুক্ত ব্রণ হয় ছত্রাকের কারণে। একই স্থানে ঘামাচির মতো একটি বা দুটি নয়, একগুচ্ছ ব্রণ হয় এক্ষেত্রে। চুলকানির সঙ্গে ব্যথাও হয় ফাঙ্গাল একনি হলে। মাথার ত্বকে জমাট বাধা খুশকি ও ব্রণ হওয়ার জন্যও দায়ী মালাসেসিয়ার ছত্রাক।
ছত্রাকজাতীয় ব্রণ সাধারণত কপাল, কাঁধ, পিঠ এবং ঘাড়ে বেশি হয়। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অ্যান্টি-ফাঙ্গালযুক্ত বডি ওয়াশ বা শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। সালফারসমৃদ্ধ সাবান বা শ্যাম্পু দিয়ে এ সমস্যার সমাধান করা হয়। এর থেকে বাঁচতে ঘামযুক্ত কাপড় পরা এড়িয়ে চলুন, জিমের পোশাক পরিবর্তন করুন, কোনো কাজ করার পর হাত ও মুখ ধুয়ে ফেলুন। দিনে অন্তত দু’বার গোসল করুন।
Advertisement
ফলিকুলাইটিস
ফলিকুলাইটিস মূলত চুলের ফলিকের প্রদাহ। ওয়াক্স বা শেভ করার পর এ ধরনের ব্রণ হয়। ব্রণের জন্য দায়ী হলো শেভ করা। বিশেষ করে একই রেজার যদি পুনরায় ব্যবহার করা হয় তাহলে এমন ব্রণ হতে পারে। এক্ষেত্রে চুলের গোড়ায় পুঁজ ফোঁড়ার মতো ফলিকুলাইটিস হয়।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ফলিকুলাইটিস হাতে, পিঠে এবং পায়ে হয়। চর্ম বিশেষজ্ঞরা সাধারণত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ক্লিনজার এবং টপিক্যালস দিয়ে এ ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধ করেন। ওয়াক্সিং এবং শেভিংয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই ব্যবহৃত লেজার ব্যবহার করবেন না।
জেএমএস/জেআইএম