অর্থনীতি

অবকাঠামো, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো প্রয়োজন

ভিশন-২০২১ উপলক্ষে যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা অর্জন সম্ভব। তবে এ জন্য অবকাঠামো, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে গুরুত্ব দিতে হবে বলে জানিছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম’র (বিডিএফ) বিভিন্ন দিক নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রায় ৬ বছর পর এবার বিডিএফ আয়োজন করা হয়েছে। দু’দিনের ফোরামে অংশ নেওয়া উন্নয়ন সহযোগীরা বলেছেন শিক্ষা-স্বাস্থ্য খাতে আমরা যে গুরুত্ব দিচ্ছি তা ভালো। তবে এ খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে অবকাঠমো খাতে গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে।তিনি বলেন, উন্নয়ন সহযোগীরা বিভিন্ন আশ্বাস দিয়েছেন। সেই সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে সতর্কও করেছেন।  বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়ন অব্যহত রাখতে বলা হয়েছে। এ খাতের উন্নয়নে আমরা বিভিন্ন জনকে পদক্ষেপ নিতে বলেছি।মন্ত্রী বলেন, অবকাঠামো খাতের উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি বিনিয়োগ প্রয়োজন। অবকঠামো খাতের উন্নয়ন না হলে সেভাবে শিল্পায়ন হবে না। তবে আগামী বছরের বাজেটে অবকাঠামো খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হবে না।প্রাথমিক শিক্ষায় অনেক অগ্রগতি হয়েছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, এখন শিক্ষার মান উন্নয়ন করতে হবে। দক্ষ জনবল গড়ে তোলার দিকে নজর দিতে হবে।তিনি আরও বলেন, ১৬ কোটি মানুষের উন্নয়ন শুধু ঢাকা থেকে করা সম্ভব না। উন্নয়নের জন্য ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। আমাদেরকে ৬৪টি জেলাতেই যেতে হবে।ইউএসএআইডি বাংলাদেশ মিশনের প্রধান জেনানা জেরুজেলস্কিও বলেন, বাংলাদেশ সরকার ২০২১’র যে ভিশন নির্ধারণ করেছে তা অর্জন সম্ভব। তবে এর জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষার প্রয়োজন। সেই সঙ্গে অবকাঠমো খাতের উন্নয়ন করতে হবে। জলবায়ু সমস্যর দিকেও নজর দিতে হবে।অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাউদ্দিন বলেন, অবকাঠমো খাতে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ প্রয়োজন। এ জন্য সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি (পিপিপি) কিভাবে আরও জোরদার করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এসডিজি’র ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতকে আনতে বলা হয়েছে। ট্যাক্স বাড়াতে বলা হয়েছে। সামাজিক সুরক্ষা খাতে জিডিপির ২ শতাংশ বিয়োগের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।এসআই/একে/পিআর

Advertisement