অর্থনীতি

রাজনৈতিক প্রভাবে উন্নয়ন নীতির বাস্তবায়ন ব্যাহত

রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে দেশে উন্নয়ন নীতির যথাযথ বাস্তবায়ন হচ্ছে না বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। শনিবার রাজধানীর পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই)-এর কনফারেন্স রুমে আয়োজিত ‘পলিসি মেকিং অ্যান্ড ইনস্টিটিউশনস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তারা এ মত প্রকাশ করেন।অনুষ্ঠানে নুরুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অনেক দুর্বলতা আছে। তারপরও এসব প্রতিষ্ঠানের নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক চাপ থাকে। আর এ চাপের ফলে নীতি নির্ধারনীতে পর্যাপ্ত তথ্য পায় না প্রতিষ্ঠানগুলো। এ কারণে দেশের উপযোগী যথাযথ নীতি প্রণয়ন সম্ভব হচ্ছে না।ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠান বা কর্মকান্ড বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করা হয়। তবে জবাবদিহিতা না থাকলে ভাল কৌশলও কাজে আসবে না। আর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অবশ্যই গণতন্ত্র থাকতে হবে।তিনি বলেন, সরকার নিজেদের স্বার্থেই দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল থাকুক এমনটি আশা করে। কিন্তু দলীয় ও জাতীয় স্বার্থের সাথে তারা সমন্বয় করতে পারে না। এসব কারণে দেশের উন্নয়নের জন্য প্রশাসনসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কিছু জায়গা ছেড়ে দেওয়া উচিত।ড. মুজেরি বলেন, আমাদের সরকারের মন্ত্রীদের মধ্যে এক ধরনের মনোভাব কাজ করে যে প্লানিং কমিশনেরই কোনো দরকার নেই।তিনি বলেন, রাজনৈতিক প্রভাব থাকলে বাংলাদেশ এসব দুর্বল কৌশল থেকে কোনো দিনও বের হয়ে আসতে পারেনি, পারছে না এবং ভবিষ্যতেও পারবে না।পিআরআই’র সভাপতি ড. সাদিক আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (আইএফপিআরআই) রিসার্চ ফেলো এমিরেটাস অধ্যাপক নুরুল ইসলাম।অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক ড. মোস্তাফা কে. মুজেরি, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান, সাবেক গর্ভনর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, মির্জা আজিজুল ইসলাম, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. শামসুল আলম, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির প্রথম সভাপতি মহিউদ্দিন আলমগীর, অর্থনীতিবিদ বিনায়ক সেন প্রমুখ।

Advertisement