বরিশালের গৌরনদীতে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় হামলা, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ছয় নারী সমর্থকসহ অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছেন। ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোনো সময় তা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রুপ নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
Advertisement
মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে দফায় দফায় সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা গৌরনদী পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী (উটপাখি মার্কা) খাইরুল খান ও কাউন্সিলর প্রার্থী (ডালিম মার্কা) আব্দুল হাকিম খানের কর্মী-সমর্থক।
এলাকাবাসী জানান, মঙ্গলবার রাতে বড় কসবা এলাকায় ওই দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আট জন আহত হন। পরে তাদের সবাইকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
Advertisement
স্থানীয়রা জানান, ২নং ওয়ার্ডের ডালিম মার্কার কাউন্সিলর প্রার্থী হাকিম খান চারজন কর্মী-সমর্থককে নিয়ে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বড় কসবা এলাকার বাসিন্দা আবুল বেপারীর বাড়িতে ভোট চাইতে যান। বিষয়টি জানতে পেরে উটপাখি মার্কা প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী খাইরুল খানের কর্মী রাজিব হাওলাদারের নেতৃত্বে ৩-৪ জন সমর্থক সেখানে গিয়ে হুমকি দেন। তারা বড় কসবা এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাউন্সিলর প্রার্থী হাকিম খানে সমর্থকদের নিষেধ করেন। অন্যথায় বড় ধরনের ক্ষতিরহুমকি দেন। এ সময় কাউন্সিলর প্রার্থী খাইরুল খানের সমর্থক রুবেল খানের সঙ্গে রাজিব হাওলাদারের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে রাজিব হাওলাদার প্রতিপক্ষ সমর্থক রুবেল খানকে ধাক্কা দিলে উভয় প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জেরে উভয় প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এতে উভয় পক্ষের আট কর্মী-সমর্থক আহত হন।
বুধবার দুপুরে টরকীর চর এলাকায় লিফলেট বিতরণের সময় উভয় প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের সামনা-সামনি দেখা হয়। এ সময় উভয় পক্ষ ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে হামলা-পাল্টাহামলা, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় উভয় পক্ষের ছয় নারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।
গৌরনদী থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশিদ জানান, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সাইফ আমীন/এএইচ/জিকেএস
Advertisement