বরিশাল নগরীতে বিআইডব্লিউটিএ এর ২১ লাখ টাকার টেন্ডার নিয়ে জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর বান্দ রোডের ডেক অ্যান্ড ইঞ্জিন কর্মী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে।বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ অফিস সূত্র জানায়, পটুয়াখালীতে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ঘাট সংলগ্ন সংযোগ সড়ক মেরামত ও নির্মেণের জন্য গত পহেলা নভেম্বর ২০ লাখ ৮৩ হাজার টাকার কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়। সোমবার ছিল ওই কাজের দরপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন। সাধারণ ঠিকাদাররা জানান, আগে থেকেই জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কয়েকজন কাজটি বাগিয়ে নিতে তৎপরতা শুরু করে। সকাল থেকেই মহানগর ছাত্রলীগের জসিম উদ্দিনের অনুসারী শাহিন, প্রদীপ দাস ও দানিয়ালসহ কয়েকজন সেখানে অবস্থান নিয়ে সাধারণ ঠিকাদারদের টেন্ডার জমা দিতে বাধা দেন। এসময় জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি এসএম রাজিব হোসেনসহ তার অনুসারীরা ইঞ্জিন কর্মী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে টেন্ডার জমা দিতে গেলে তাদের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। হাতাহাতির বিষয়টি অস্বীকার করে জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি এসএম রাজিব হোসেন জাগো নিউজকে জানান, তারা টেন্ডার জমা দিতে গেলে শাহীনসহ কয়েকজন বাধা দেয়। পরে অবশ্য সব কিছু ঠিক হয়ে যায়।কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের উ-পরিদর্শক (এসআই) কবির হোসেন জাগো নিউজকে জানান, বিআইডব্লিউটিএ এর টেন্ডার দরপত্র জমাদানকে কেন্দ্র করে ডেক অ্যান্ড ইঞ্জিন কর্মী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ছাত্রলীগের উভয় গ্রুপের মধ্যে কিছুটা উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ এর নিবার্হী প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ কবির জাগো নিউজকে জানান, শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই তার দফতরে দরপত্র জমাদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। দফতরের বাইরে কোনো ঘটনা ঘটে থাকলেও তা তিনি জানেন না।সাইফ আমীন/এমজেড/পিআর
Advertisement