প্রবাস

চীনে বাংলাদেশিদের চড়ুইভাতি

বাংলাদেশিদের মাঝে ভ্রাতৃত্ব বাড়াতে এবং করোনা পরবর্তী প্রবাস জীবনের একঘেঁয়েমি কাটাতে চীনের চিয়াংশি প্রদেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে হয়ে গেল প্রাণবন্ত বার্ষিক বনভোজন। দূর-পরবাসে কর্মব্যস্ত জীবনে একটু অবসরের স্বাদ নিতে সবাই অংশগ্রহণ করেন চড়ুইভাতিতে।

Advertisement

স্থানীয় সময় রোববার চিয়াংশি প্রদেশের রাজধানী নানচাং শহরে অবস্থিত ইয়াওহু বারবিকিউ ইকোলজিকাল গার্ডেনে ‘বাংলাদেশি কমিউনিটি ইন চিয়াংশি প্রোভিন্স’ এর উদ্যোগে বার্ষিক এই বনভোজনটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রবাসীদের উপস্থিতিতে ইয়াওহু লেকের একটি অংশে সৃষ্টি হয় যেন এক টুকরো বাংলাদেশ।

বনভোজন অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন- ইমতিয়াজ আহমেদ রুমী ও মো. মাহামুদুর রহমান রোকন এবং সহযোগিতায় ছিলেন আকরাম, শাকিল, তানভীর। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মুহা. ওলিউদ্দিন ও সৈয়দ মোহাম্মদ ফাহিম। সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন- আলি সারোয়ার খান, শাওন আহমেদ খান, তমাল বর্মন, ওবায়দুল হক, নাজমুল হাসান, জালাল আহমেদসহ অনেকে।

সৈয়দ মোহাম্মদ ফাহিম বলেন, প্রবাস জীবনে আমরা আমাদের পরিবার ও দেশকে অনেক মিস করি। গত বছর থেকে করোনা শুরু হওয়ার পর আমরা অনেকেই দেশে ফিরে যেতে পারছি না, পারব কিনা সেটাও নিশ্চিত না। এমন পরিস্থিতিতে এ রকম একটা আয়োজন আমাদেরকে কিছুটা সময়ের জন্য হলেও ভুলিয়ে দিয়েছিল আমরা বিদেশে নেই। মনে হলো এ যেন চায়নার বুকে ছোট্ট বাংলাদেশ। এ যেন একটি পরিবার। দেশি খাবার আর দেশের মানুষ সব মিলে এক আবেগময় পরিবেশ।

Advertisement

নানচাং ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়রত বাংলাদেশি ছাত্র মো. মাহামুদুর রহমান রোকন বলেন, বাংলাদেশ থেকে চীনে এসে করোনা ভয়াল চিত্র খুব কাছ থেকে অবলোকন করেছি। তার মাঝে একঘেঁয়েমি কাটাতে চিয়াংশি প্রদেশে বাংলাদেশিদের নিয়ে প্রবাসে খুশিতে একটি দিন আয়োজনটি ছিল ভালো একটি উদ্যোগ। সকল দেশীয় রান্না খাবার সাথে দেশি ভাইদের নিয়ে একটি দিন অতিবাহিত করলাম। সবমিলে চীনের বুকে ক্ষুদ্র এক লাল সবুজ বাংলাদেশ। ধন্যবাদ বাংলাদেশি কমিনিউটি ইন চিয়াংশি প্রোভিন্স।

বনভোজনের শেষ পর্ব ছিল পরিচিতি ও অনুভূতি প্রকাশ। র‌্যাফেল ড্র, পুরস্কার বিতরণী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেশীয় গান পরিবেশন করেন চীনে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ছাত্র মো. আবির হোসেন ও মো. রকিনুল ইসলাম নিশান। অনুষ্ঠানের এমন ধারা বজায় থাকুক, এমন প্রত্যাশা নিয়েই এবারের পিকনিক সফলভাবে শেষ হয়।

এমআরএম/জিকেএস

Advertisement