প্রকৃতির অনন্য বিস্ময় লুকিয়ে আছে চেরাপুঞ্জিতে। উত্তর-পূর্ব ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সবচেয়ে উঁচু এ স্থানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। স্থানটিতে প্রতিবছর ১১ হাজার ৭৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। তাই তো স্থানটি পৃথিবীর সবচেয়ে ভেজা স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম।
Advertisement
চেরাপুঞ্জি ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পূর্বখাসি পাহাড়ি জেলার একটি শহর। চেরাপুঞ্জিকে বাংলায় বলা হয় কমলা দ্বীপ। কমলা ছাড়াও সেখানে রয়েছে প্রচুর পান-সুপারির গাছ। চেরাপুঞ্জির গড় উচ্চতা ১ হাজার ৪৮৪ মিটার। খাসি পাহাড়ের দক্ষিণে একটি মালভূমির উপর এটি অবস্থিত।
এর পাশেই রয়েছে বাংলাদেশের সমতল ভূমি। মালভূমিটি চারপাশের সমতল থেকে গড়ে ৬০০ মিটার উঁচু। এক চেরাপুঞ্জিতে গেলেই আপনি দেখতে পাবেন বৃক্ষরাজি, পাহাড়, জলপ্রপাত, গুহা, প্রাকৃতিক ব্রিজসহ বিস্ময়কর অনেক কিছু। তাই জেনে নিন চেরাপুঞ্জিতে গেলে যা দেখবেন-
নোহকালিকাই জলপ্রপাত: ভারতের সবচেয়ে উঁচু জলপ্রপাতগুলোর মধ্যে তৃতীয় হলো নোহকালিকাই। জলপ্রপাতটি ১ হাজার ১২০ ফুট উচ্চতা থেকে নেমে আসে। চেরাপুঞ্জির আকর্ষণীয় একটি স্থান হলো এটি। যেহেতু সব সময়ই পুরো চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত হয়, তাই সূর্যের আলো উঠলেই জলপ্রপাতের গায়ে রংধনুর দেখা মেলে। যা সত্যিই বিস্ময়কর।
Advertisement
মাউসিনরাম গ্রাম: মাউসিনরাম গ্রামটি পুরো পৃথিবীর সবচেয়ে ভেজা জায়গা! মনোরম ও শান্তিপূর্ণ এ গ্রামে প্রতিবছর ১১ হাজার মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। ভারি বৃষ্টিপাতের শব্দ কমাতে গ্রামের বাড়িগুলোর উপরে ঘন ঘাস দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়।
সেভেন সিস্টার্স জলপ্রপাত: সাতটি জলপ্রপাত একসঙ্গে থাকায় সেভেন সিস্টার্স নামে ডাকা হয় তাদের। স্থানীয়ভাবে নোহসিংথিয়াং জলপ্রপাত বা মাওসমাই জলপ্রপাত নামে পরিচিত। সেভেন সিস্টার্স জলপ্রপাতটি মেঘালয়ের সর্বোচ্চ চতুর্থ জলপ্রপাত। এটি সাতটি জলপ্রপাতের গুচ্ছ, যা দেখতে নয়নাভিরাম।
মাওসমাই গুহা: অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়দের কাছে মাওসমাই গুহাটি বেশ আকর্ষণীয় একটি স্থান। ভূ-গর্ভস্থ গুহাটিতে প্রবেশের সময় স্থানীয় গাইড না থাকলেই বিপদ। চেরাপুঞ্জির সর্বাধিক জনপ্রিয় স্থানগুলোর মধ্যে মাওসমাই গুহাটি অন্যতম। মূল শহর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গুহাটি।
ডাবল ডেকার লিভিং রুট ব্রিজ: চেরাপুঞ্জির অন্যতম দর্শনীয় স্থান হলো ডাবল ডেকার লিভিং রুট ব্রিজ। প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা ব্রিজটি প্রকৃতির যেন এক বিস্ময়কর আশীর্বাদ। অন্ধকার ঘন জঙ্গলের মাঝে দৃষ্টিনন্দন ব্রিজটি দেখলে যে কারো মন ভালো হয়ে যাবে।
Advertisement
টাইমস অব ইন্ডিয়া/জেএমএস/এসইউ/জিকেএস