সক্ষমতা বিবেচনা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধাপে ধাপে খুলে দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে বলা হয়েছে। সরকার কবে, কখন কিভাবে খুলবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা দেয়ারও দাবি জানানো হয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) এডুকেশন ওয়াচ ২০২০-২১ সমীক্ষার অন্তর্বর্তীকালীন খসড়া প্রতিবেদনের ওপর ভার্চুয়ালে প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞরা এসব প্রস্তাব দিয়েছেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এডুকেশন ওয়াচের গবেষক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, সদস্য মোহাম্মদ মহাসিন, অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ ও আহ্বায়ক আহমদ মোশতাক রাজা চৌধুরী।
রাশেদা কে. চৌধুরী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে আমরা নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা বেধে দিচ্ছি না। সরকারকে ধাপে ধাপে সক্ষমতা অর্জন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে হবে। যাতে পরবর্তী ধাপে ভুলগুলো শুধরে নিতে পারে। সবার সুরক্ষা নিশ্চিত এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
Advertisement
তিনি বলেন, করোনা আক্রান্ত কম এলাকায় সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। সেখানে কোনো ধরনের দূরশিক্ষণের ব্যবস্থা নেই। তাই পরিবেশ-পরিস্থিতি বিবেচনা করে ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে হবে।
দেশের কিছু উপজেলায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়নি বা আক্রান্ত হওয়ার হার কম। ওটাকে ফলো করে ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়ার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে সুপারিশ করা হয়।
গবেষণা প্রতিবেদনের সুপারিশে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে হবে। সেই ক্ষেত্রে শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ খুলে দেয়া যেতে পারে। এজন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও নিরাপদ শ্রেণিকক্ষ ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন করতে হবে। শিক্ষকদের ওপর চাপ কমাতে বাড়তি সুবিধা ঘোষণা। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে স্থানীয় অংশীজনদের সম্পৃক্ত করে কেন্দ্রীয়ভাবে দুই বছর মেয়াদি পরিকল্পনা তৈরি করে তা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। এজন্য কমিউনিটি, নাগরিক সমাজ ও এনজিওদের শিক্ষা পুনরুদ্ধার কার্যক্রমে যুক্ত করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এমএইচএম/এআরএ/জিকেএস
Advertisement