৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির বিধান থাকা সত্ত্বেও ১৩ বছর ধরে ঢাকার অর্থ ঋণ আদালত-১ এ একটি মামলা চলছিল। এই মামলার কার্যক্রম আগামী ১ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে, অর্থ ঋণ আদালতের মামলাটি বাতিলের বিষয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
Advertisement
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (১৮ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হাসান মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মৌসুমী রহমান।
এর আগে ঋণ পরিশোধের ব্যর্থতার কারণে ২০০৭ সালে ডেমরার গোলাম কিবরিয়ার সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন ঢাকার অর্থ ঋণ আদালত। কিন্তু সেই সম্পত্তি ক্রোক আদেশ থেকে মুক্ত ও নিজের আয়ত্তে নিতে ২০০৮ সালে আবেদন (দেওয়ানী বিবিধ আবেদন) করেন গোলাম হায়দার নামের এক ব্যক্তি। অর্থ ঋণ আদালত আইনের ৩২ ধারার বিধান অনুসারে, গোলাম হায়দারের আবেদনটি সর্বোচ্চ ৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি হওয়ার কথা। অথচ প্রায় ১৩ বছরেও সে আবেদন নিস্পত্তি হয়নি। ফলে অপরিচিত গোলাম হায়দারের আবেদনের কারণে বিগত ১৩ বছর ধরে কোর্টের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে থাকেন সত্তরোর্ধ্ব গোলাম কিবরিয়া। দীর্ঘদিনেও আবেদনটি নিষ্পত্তি না হওয়ায় ১৩ বছরের চড়া সুদের দায় নিজের ওপর আসার অপেক্ষায় ভীত তিনি।
গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘গোলাম হায়দারকে কখনোই আমি ব্যাক্তিগতভাবে চিনতাম না। তার সঙ্গে আমাদের পারিবারিক কোনো সম্পর্কও নেই। এরপরও সে আমার সম্পত্তি (ক্রোককৃত) জোরপূর্বক নিজের বলে দাবি করে মামলা দেয়। অথচ সে যেসব শরিকের মাধ্যমে জমি পেয়েছে বলে দাবি জানিয়েছে, সেখানে আমাদের দলিলে অন্য শরীকদের নাম রয়েছে। অর্থাৎ আমি আমার শরীকের মাধ্যমেই উক্ত সম্পত্তির মালিকানা পেয়েছি তা স্পষ্ট।’
Advertisement
বর্তমানে মামলাটি ঢাকার অর্থ ঋণ আদালত-১ এ বিচারাধীন। মামলাটি খারিজ চেয়ে ২০২০ সালের ২৮ অক্টোবর ওই আদালতে আবেদন জানান গোলাম কিবরিয়া। তবে, অর্থ ঋণ আদালত-১ এর বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন সে আবেদন খারিজ করে দেন। এরপর বিচারিক আদালতে দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা মামলাটির কার্যক্রম বাতিল ঘোষণা চেয়ে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে হাইকোর্টে রিট করা হয়। সেিই রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট আজ এমন আদেশ দেন।
এফএইচ/এমএসএইচ/এমকেএইচ