ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক সিকান্দার খান বলেছেন, দারিদ্র্যের হার গ্রামাঞ্চলে বেশি হলেও বর্তমানে নগরভিত্তিক দরিদ্র জনগোষ্ঠীর হারও বেড়েছে। সামাজিক সুরক্ষায় গ্রাম-শহরের ভেদাভেদ দূর করা জরুরি। করোনা পরবর্তী অভিজ্ঞতার আলোকে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করে দারিদ্র্য বিমোচনে কাজ করতে হবে।
Advertisement
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) এসডিজি ইয়ুথ ফোরামেরর উদ্যোগে দারিদ্র্য ও এর থেকে পরিত্রাণে করণীয় নিয়ে ‘এসডিজি-১ নো প্রভার্টি অ্যান্ড ইটস পারসপেকটিভ অন বাংলাদেশ’ শীর্ষক ভার্চুয়াল ওয়েবিনারে তিনি এসব কথা বলেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
অধ্যাপক সিকান্দার খান বলেন, ‘স্বাধীনতা পরবর্তী সময়কালে দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের বিষ্ময়কর সাফল্য বিশ্বব্যাপী প্রশংসনীয় ছিল। এছাড়া এমডিজি (সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) অর্জন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও দৃশ্যমান অগ্রগতি বিদ্যমান। করোনা অতিমারির গ্রাসে সারা বিশ্বের মতো দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের চলমান অগ্রগতিও বিঘ্নিত।’
বেসরকারি এক সংস্থার পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘করোনা পূর্ববর্তী যেখানে দারিদ্র্যের হার প্রায় ২০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছিল, করোনা পরিস্থিতির ফলশ্রুতিতে তা আবার তরান্বিত হয়েছে। ফলে টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট অর্জনের প্রথম লক্ষ্য দারিদ্র্য বিমোচনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলোর যথাযথ বাস্তবায়ন প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনায় এগোতে হবে।’ এসডিজি ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি নোমান উল্লাহ বাহারর সভাপতিত্বে ও এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের সহকারী অধ্যাপক ড. শারিন শাহজাহান নওমির সঞ্চালনায় সংগঠনটির ফেসবুক পেজ থেকে ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্যানেল আলোচক ছিলেন ইস্ট ডেল্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও অর্থনীতিবিদ প্রফেসর সিকান্দার খান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য ও পরিবেশবিদ জাফর আলম, অর্থনীতিবিদ মো. শাহজাহান সিদ্দিকী, বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ হাওলাদার, ওব্যাট হেল্পার্সের প্রতিষ্ঠাতা আনোয়ার খান, এসডিজি ইয়ুথ ফোরামের দফতর সম্পাদক মিনহাজুর রহমান শিহাব, এসডিজি ইয়ুথ ফোরামের ঢাকা টিমের কো-অর্ডিনেটর ফারহানা বারি, কমিউনিকেশন এক্সিকিউটিভ তনিমা রহমান, সদস্য মো. মনির খান প্রমুখ।
Advertisement
নোমান উল্লাহ বাহার বলেন, সরকার সামাজিক সুরক্ষা খাতে যথেষ্ট অর্থ বরাদ্দ রাখলেও সুষম বণ্টন তথা প্রকৃত দরিদ্র, দুস্থ ও অসহায় মানুষের উপকার নিশ্চিত করা জরুরি। দারিদ্র্য সর্বদা বহুরূপী, এর সমাধান প্রক্রিয়াও বহুমাত্রিক পন্থায় হওয়া উচিত।
আবু আজাদ/এমএসএইচ/জিকেএস