দরূদ পড়ার ফজিলত ও প্রাপ্তি অনেক বেশি। আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমের যেমন দরূদ পড়তে বলেছেন; তেমনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর প্রতি বেশি বেশি দরূদ পড়ার নসিহত পেশ করেছেন।
Advertisement
আবার কারো সামনে যদি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নাম উচ্চারিত হয়, তবে তার ওপর দরূদ পড়া আবশ্যক হয়ে যায়। কিন্তু কারো সামনে যদি তাঁর নাম উচ্চারিত হয় কিংবা তার আলোচনা হয় তবে কোন দরূদ পড়বেন?
হ্যাঁ, মমিন মুসলমানের জন্য আবশ্যক করণীয় হলো, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নাম শোনার সঙ্গে সঙ্গে তার ওপর দরূদ পাঠানো। ন্যূনতম ছোট্ট এ দরূদটি পড়া। তাহলো- - صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمউচ্চারণ : ‘সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।’
দরূদ পড়ার গুরুত্বহজরত আলি ইবনু আবি ত্বালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যার সামনে আমার আলোচনা করা হয় বা আমার নাম উচ্চারণ করা হয় কিন্তু তারা আমার ওপর দরূদ পড়ে না; তারা হলো কৃপণ। অর্থাৎ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নাম শোনার সঙ্গে সঙ্গে অন্ততঃ ‘সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ বলা। (তিরমিজি, মিশকাত, ইবনে মাজাহ)
Advertisement
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তার নাক ভূলুন্ঠিত হোক বা ধ্বংস হোক; যার সামনে আমার নাম উচ্চারিত হল আর সে আমার উপর দরূদ পড়লো না। নাউজুবিল্লাহ। (মিশকাত, তিরমিজি)
আর যারা দরূদে ইবরাহিমসহ অন্যান্য দরূদ পড়তে পারেন; চাইলে তারা সেসব দরূদও পড়তে পারেন। কেননা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি দরূদ পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহ তাআলা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নাম শোনার সঙ্গে সঙ্গে ছোট হোক আর বড় হোক দরূদ পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমকেএইচ
Advertisement