রাজধানীর কদমতলী থানাধীন এলাকার প্রবাসীর কন্যা সোহেলী হত্যা মামলার প্রধান আসামি রাব্বি এবং নূর জাহান ওরফে বৃষ্টি হত্যা মামলার আসামি নাছির উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত সিনিয়র এসি (ডেমরা জোন) এস এম তারেক রহমান এর নেতৃত্বে কদমতলী থানা থানা পুলিশ চাঁদপুর সদর থানা ও কদমতলী থানা এলাকা থেকে ওই দুজনকে আটক করে। কদমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী জাগো নিউজকে বলেন, গত ৩ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে কদমতলী থানাধীন দক্ষিণ দনিয়া-২ নং মিনাবাগ রোডস্থ ১৪৯২ শিকদার ভিলার ভাড়া বাসায় ইতালি প্রবাসী আব্দুল হান্নান মিয়ার মেয়ে সোহেলী (১২) হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। পরে তদন্তে জানা যায় ৬ষ্ঠ শ্রেণির এ ছাত্রীকে মো. রাব্বি এবং তার অপর এক সহযোগী নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। একই সময় সোহেলীর মা শাহিদা মৃধা (৩০) ও ছোট মেয়ে সারা (০৭) কে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে তারা। ওই ঘটনায় কদমতলী থানায় রাব্বিকে আসামি করে পিতা নূরুল হক একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সোমবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কদমতলী থানাধীন মুরাদপুর এলাকা থেকে রাব্বিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, আসামি রাব্বি একসময় ভিকটিম সোহেলীদের পাশের ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকত। সে কারণে মাঝেমধ্যে তাদের বাসায় আসা যাওয়া করত। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় রাব্বি তার অপর সহযোগীসহ সোহেলীর মা সাহিদার নিকট এক হাজার টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করায় রাব্বি তার সাথে স্কুল ব্যাগে থাকা চাপাতি দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে সোহেলীকে হত্যা করে এবং সাহিদা ও সারাকে মারাত্মকভাবে জখম করে পালিয়ে যায়। অন্যদিকে, গত ১৩ অক্টোবর সকাল ৮টায় কদমতলী থানাধীন পূর্ব জুরাইন ১৫৮৭/২ শিকদার ভিলায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী নূর জাহান ওরফে বৃষ্টিকে গলাটিপে হত্যা করে স্বামী নাছির উদ্দিন (৩৫)। পরে লাশ ঝুলিয়ে রেখে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায়। গত ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় লাশ পচে গন্ধ বের হলে এলাকাবাসীর সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ বৃষ্টির গলিত লাশ উদ্ধার করে। এঘটনায় বাবা নূর শেখ কদমতলী থানায় একটি হত্যা মামলা (মামলা নং-৪৭) দায়ের করেন। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আসামি নাছির উদ্দিনকে রোববার রাতে চাঁদপুর জেলা সদরের ষোলঘর দর্জি ঘাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার উভয় আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।জেইউ/এসকেডি/আরআইপি
Advertisement