রাশিয়ার কাছ থেকে নৌবাহিনীর জন্য দুটি সাবমেরিন (ডুবোজাহাজ) কিনছে বাংলাদেশ। শুক্রবার একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।প্রতিবেদনে জানানো হয়, বাংলাদেশ মূলত চীন ও পাকিস্তান থেকে সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় করে থাকে। চীন ও বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেক ভাল। প্রতিবেশী শত্রু দেশ পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে ঢাকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গাঢ় হওয়ায় উদ্বেগে ছিল নয়াদিল্লি। কিন্তু চীনের পরিবর্তে রাশিয়া থেকে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেনার পরিকল্পনা গ্রহণ করায় সেই উদ্বেগ কাটতে শুরু করেছে।প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দারুণভাবে উপভোগ করে ভারত। তাই নয়াদিল্লির জন্য ক্ষতি হয় এমন কাজ কখনো করবে না ক্রেমলিন-তেমনটা বিশ্বাস করে ভারত সরকার।কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে সামরিক উপস্থিতি দূরে রেখেছে ভারত। ভবিষ্যতেও এ অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতির ব্যাপারে একই নীতি গ্রহণ করবে দিল্লি। চলতি বছরের শেষের দিকে ভারতীয় নৌবাহিনীতে দুটি সাবমেরিন আসছে। তবে এ নিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোর উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। এ সাবমেরিন কেনার বিষয়টি অর্থনৈতির চেয়ে কূটনৈতিক গুরুত্ব বেশি দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক গড়ে তুলতেই এটি কার্যকর হবে।ঢাকা সূত্রের বরাত দিয়ে খবরে আরও বলা হয়, রাশিয়া থেকে দুটি ডিজেল চালিত সাবমেরিন কেনার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নৌবাহিনীর জন্য যুদ্ধবিমানও কিনবে ঢাকা। বাংলাদেশ মিগ-২৯সহ রাশিয়ার তৈরি বিভিন্ন যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করে আসছে।সাবমেরিন কিনলে দেশ দুটির সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করবে। ২০১৩ সালে রাশিয়া অস্ত্র কিনতে বাংলাদেশকে ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। তারই আলোকে ২০১৯ সালের মধ্যে নৌবাহিনীতে সাবমেরিনগুলো যুক্ত করতে চাচ্ছে বাংলাদেশ।উল্লেখ, রাশিয়া সফরের সময় ২০১৩ সালের ১৫ জানুয়ারি ক্রেমলিনে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে তিনটি চুক্তি ও ৬টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন শেখ হাসিনা। উভয় দেশের সরকারের পক্ষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন। -টাইমস অব ইন্ডিয়া
Advertisement