সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা হবে দক্ষিণ এশিয়ার সাংস্কৃতিক রাজধানী। শিল্প-সংস্কৃতির চর্চার মধ্য দিয়েই অপশক্তির পথ রুদ্ধ করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সোমবার ভাস্কর নভেরা আহমেদের একটি ভাস্কর্য জাতীয় জাদুঘরে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ওই অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় শিল্প-সংস্কৃতির কোনো বিকল্প নেই। শুধু শক্তি প্রয়োগ করে জঙ্গি মোকাবেলা করা যাবে না। সুষ্ঠু সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে মানুষকে এ ব্যাপারে সচেতন করে তুলতে হবে। তিনি আরো বলেন, নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস হচ্ছে সাংস্কৃতিক চর্চার মৌসুম। আন্তর্জাতিক বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠান এই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশে যে পরিবেশে এসব আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠান হচ্ছে, সেই পরিবেশ অনেক দেশেই নেই। আসাদুজ্জামান নূর বলেন, নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঢাকাকে সাংস্কৃতিক রাজধানী করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন এবং আমরা সেই নির্দেশনা অনুসরণ করেই এগিয়ে যাচ্ছি। আগামী বইমেলা শান্তিপূর্ণভাবেই অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি। ভাস্কর নভেরা সম্পর্কে বলেন, তিনি (নভেরা) ভাস্কর্য শিল্পে নতুন ধারার সূচনা করেছিলেন। তার একটি মূল্যবান ভাস্কর্য জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত হওয়ায় আমরা আনন্দিত। জাতীয় জাদুঘর ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, শিল্প সচিব মোশাররফ হোসেন ভূইয়া, চিত্রশিল্পী হাশেম খান, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইকবাল এবং জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী। পরে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর কাছ থেকে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের সদর দফতরে রক্ষিত নভেরা আহমেদের একটি আধুনিক শিল্পকর্ম গ্রহণ করেন। এএসএস/জেডএইচ/পিআর
Advertisement