জাতীয়

র‌্যাপিড অ্যাকশনে না গেলে মার্চে খারাপ হতে পারে মশা পরিস্থিতি

চলতি শীত মৌসুমে রাজধানীতে ফের বেড়েছে মশার উপদ্রব। সঠিকভাবে পুরো ঢাকায় কীটনাশক ছিটানো না গেলে আগামী বর্ষার আগেই কিউলেক্স মশা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন মশা গবেষক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার।

Advertisement

রোববার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে জাগো নিউজকে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, ‘এখন কিউলেক্স মশার সিজন। এখন যা অবস্থা আছে যদি র‌্যাপিড অ্যাকশন না নেয়া হয়, তাহলে আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত এটা বাড়তেই থাকবে। র‌্যাপিড অ্যাকশন বলতে আমরা যেটা বুঝি, সেটা হলো পরিবেশগত ব্যবস্থাপনায় নজর দিতে হবে। যেমন- ড্রেন, ডোবা, নর্দমা, খাল, বিল এগুলোতে যে কচুরিপানা বা ময়লা আছে, সেগুলো পরিষ্কার করে মশার লার্ভিসাইড প্রতি সাতদিন পরপর দিতে হবে।’

এই কীটতত্ত্ববিদ বলেন, এটা প্রতিটা ওয়ার্ড বা এলাকা ধরে ব্লাঙ্কেট অ্যাপ্রোচে এগোতে হবে। মানে একটা এলাকা যখন শুরু করবো, সেটা পুরাটা কাভার করবো। তা না হলে কোনো লাভ হবে না। যেমন- একটা এলাকার একটা ড্রেনে দিলাম কিন্তু অন্য ড্রেনে দিলাম না, তো সেই ড্রেন থেকে আবার মশা জন্ম নেবে। অর্থাৎ একটা এলাকা ধরে সেখানে পূর্ণাঙ্গভাবে কাজ করতে হবে। এলাকার মশা জন্মানোর স্থানে লার্ভিসাইড, পরিষ্কার করা ও অ্যাডাল্টি সাইড বা ফগ ইন একসঙ্গে দিতে হবে। এটাকে বলে ব্লাঙ্কেট অ্যাপ্রোচ। অন্যথায় মার্চে মশার উপদ্রব বাড়তে বাড়তে চরমে পৌঁছাবে।’

Advertisement

যদিও রাজধানীর মশা এবার নিয়ন্ত্রণে আছে বলে দাবি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের। রোববার (১৭ জানুয়ারি) এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘এবার ঢাকায় কিউলেক্স মশা ও এডিস মশার প্রাদুর্ভাব কমেছে। ফলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দুই বছর আগে রাজধানীর ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া পরিস্থিতি চরমে পৌঁছালে নড়ে চড়ে বসে দুই সিটি করপোরেশন। সে সময় সিটি করপোরেশনের গাফলতি, মশার ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে।’

অধ্যাপক কবিরুল বাশার আরও বলেন, ‘সিটি করপোরেশন কেমন কাজ করছে সেটা মূল্যায়ন করবে জনগণ। মশার কীটনাশকে কাজ হচ্ছে কিন্তু সেগুলো নিয়মমত বা টাইমলি দেয়া হচ্ছে না। মশার জীনগত পরিবর্তন হিসাব করেই নতুন ইনসেক্টিসাইড সিলেকশন করা হয়েছে। সেগুলো টেস্ট করেই প্রয়োগ করা হচ্ছে। নিয়মতান্ত্রিকভাবে, বিজ্ঞানভিত্তিক উপায়ে, সঠিক ডোজ, সঠিক মাত্রায়, সঠিক সময়ে কীটনাশক প্রয়োগ করা প্রয়োজন।’

এসএম/এআরএ/জেআইএম

Advertisement