পটুয়াখালীতে পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলে জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিং (খনন) কাজ শুরু হয়েছে। শনিবার (১৬ জানুয়ারি) নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ড্রেজিং কাজের উদ্বোধন করেন। মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
Advertisement
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পায়রা বন্দরকে গতিশীল করতে পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের গভীরতা ৬ দশমিক ৩ মিটার বজায় রাখার মাধ্যমে দেশে বৈদেশিক বাণিজ্যের গতিশীলতা ধরে রাখার লক্ষ্যে রাবনাবাদ চ্যানেলের (ইনার ও আউটার চ্যানেল) জরুরি মেইনটেনেন্স (রক্ষণাবেক্ষণ) ড্রেজিং কাজ শুরু হয়েছে। জরুরি ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে রক্ষণাবেক্ষণের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ক্যাপিটাল ড্রেজিং শুরু করার কার্যক্রম চলমান। ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে রাবনাবাদ চ্যানেলের নাব্য বাড়ানো হবে, ফলে ১০ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফটবিশিষ্ট বাণিজ্যিক জাহাজ বন্দরে ভিড়তে পারবে।’
তিনি বলেন, ‘এতে বিপুলসংখ্যক বিদেশি জাহাজ বন্দরে আগমন করবে এবং দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যে নতুন মাত্রা সংযোজিত হবে।’
‘আমাদের রিজার্ভের পরিমাণ ৪২ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের কাজটি নিজস্ব অর্থায়নে করতে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করতে পারছেন বলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও চিন্তাগুলো বাস্তবায়ন করতে পারছেন।’
Advertisement
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পায়রা বন্দর ২০৩৫ সালে দেশের অর্থনীতিতে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে। প্রধানমন্ত্রীর কর্মকাণ্ড শুধু দেশে নয়, সারাবিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে; ২০৪১ সালের আগেই উন্নত দেশে পদার্পণ করবে।’
খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘পায়রা বন্দর সরকারের একটি জাতীয় অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্প এই বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। ইতোমধ্যে এই বন্দরের প্রথম টার্মিনাল নির্মাণের কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। এছাড়া বন্দরের সার্ভিস জেটি নির্মাণকাজ চলমান এবং সংযোগ সড়ক ও আন্দারমানিক নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণকাজ শিগগিরই শুরু হবে।’
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলে ৬ দশমিক ৩ মিটার গভীরতা বজায় রাখার লক্ষ্যে জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিং প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং বেলজিয়ামভিত্তিক ড্রেজিং কোম্পানি জান ডি নুলের মধ্যে ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়।
এ সময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর হুমায়ুন কল্লোল, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) এম রাফিউল হাসান, সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমোডর এম মামুনুর রশীদ, সদস্য (প্রকৌশল ও উন্নয়ন) কমোডর রাজীব ত্রিপুরা এবং ড্রেজিং কোম্পানি জান ডে নুলের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
কাজী সাঈদ/আরএমএম/এআরএ/জিকেএস