ভোলায় ফসলি জমিতে বেড়া দেয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ইউসুফ আলী আরিন্দা (৬২) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিহত ওই বৃদ্ধের ছেলে ও পুত্রবধূ আহত হয়ে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
Advertisement
শনিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে ভোলার লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সিকদারহাট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন-শাহে আলম (৩৫) ও মমতাজ বেগম (২৮)।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে শাহে আলম ১৬-১৭ জনকে আসামি করে লালমোহন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
Advertisement
নিহত ইউসুফ আলী আরিন্দা ভোলার লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সিকদারহাট গ্রামের মৃত গফুর আলী আরিন্দার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নিহত ইউসুফ আলী আরিন্দার সঙ্গে পাশ্ববর্তী বাড়ির আজাহার গংদের সঙ্গে তাদের বাড়ির দক্ষিণ পাশের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার সকালে ইউসুফ আলী ও তার পরিবারের সদস্যরা ওই জমিতে বেড়া দিচ্ছিলেন। ওই সময় আজাহার, ইব্রাহীম, ছিডু, শহিদুল, জাকির এসে বাধা দেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ বাগবিতণ্ডা চলতে থাকে। একপর্যায়ে দু’গ্রুপের মধ্যে সংর্ঘষ বেধে যায়।
সংর্ঘষে আজাহার গ্রুপের লাঠির আঘাতে মাথায় প্রচণ্ড আঘাতপ্রাপ্ত হন ইউসুফ আলী আরিন্দা। ওই সময় ছেলে শাহে আলম ও পুত্রবধূ মমতাজ ইউসুফ আলীকে উদ্ধার করতে গেলে তারাও আঘাত প্রাপ্ত হন। পরে ইউসুফ আলীকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসলে তিনি মারা যান। পরে স্থানীয়রা ছেলে ও পুত্রবধূকে উদ্ধার করে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকসুদুর রহমান মুরাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে আমরা নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি।
Advertisement
তিনি আরও জানান, নিহতের ছেলে শাহে আলম এ ঘটনায় ১২ জনের নাম উল্লেখ ও ৪-৫ জনকে অজ্ঞাতসহ মোট ১৬-১৭ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
জুয়েল সাহা বিকাশ/এসআর/জিকেএস