নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিএনপি ও জামায়াতের একক প্রার্থী হলেও একাধিক প্রার্থী নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে আওয়ামী লীগকে। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি প্রার্থী না দিলেও পৌরসভা নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী থাকায় বিপাকে পড়বে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। চলতি বছরের ডিসেম্বরে পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সৈয়দপুর পৌরসভার সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রচারণায় মাঠে নেমেছেন। এলাকাবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ডিজিটাল ব্যানার টাঙানো হয়েছে, পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণায় নেমেছেন। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন তারা এবং এলাকায় ভালো সম্পর্ক বজায় রাখছেন। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হবে এমন ঘোষণার পর দলীয় মনোনয়ন পেতে আটঘাট বেঁধে মাঠে নেমেছেন প্রার্থীরা।জানা যায়, ২০১১ সালের ১২ জানুয়ারি সৈয়দপুর পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পৌরসভার প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় ওই বছরের ২য় সপ্তাহে। সে হিসেবে চলতি বছরের অক্টোবর মাসে মেয়াদ শেষ হয় পৌর পরিষদের। স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিরপেক্ষ হলেও এবারে দলীয় ব্যানারে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই দলীয় সমর্থন পেতে নিজ দলের নেতা-কর্মীদের কাছে দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। প্রার্থী মনোনয়ন নিয়েও চলছে পক্ষে-বিপক্ষে নানা আলোচনা। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান মেয়র অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন সরকার ভজে পুনরায় মেয়র পদে নির্বাচন করবেন। তবে মামলার কারণে কোনো সমস্যা হলে সেক্ষেত্রে মেয়র পদে আব্দুল গফুর সরকার বা অন্য কেউ বিএনপির সমর্থনে প্রার্থী হতে পারেন। এদিকে আওয়ামী লীগের ব্যানারে সাবেক পৌর মেয়র ও মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আখতার হোসেন বাদল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানা গেছে। এছাড়া আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচন করার জন্য মাঠ দখল করে রেখেছেন সাবেক প্যানেল মেয়র হিটলার চৌধুরী ভলু, দিলনেওয়াজ খান, অধ্যাপক সাখাওয়াৎ হোসেন খোকন, পিকে ছাইদুল। আর জাতীয় পার্টি থেকে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সিদ্দিকুল আলম ও বিশিষ্ট ঠিকাদার জয়নাল আবেদীন মেয়র পদে প্রার্থী হতে পারেন।জামায়াত নির্বাচনে অংশ নিতে না পারলে এই দলের প্রার্থী হাফেজ আব্দুল মুনতাকিম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিবতা করবেন। এক্ষেত্রে বিএনপি-জামায়াতের ভোট ভাগাভাগির কারণে সুবিধাজনক অবস্থানে যাবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী। অপরদিকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী থাকলে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হবে। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি সৈয়দপুর উপজেলায় প্রার্থী দেয়নি পৌরসভায় প্রার্থিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে। ভোটার তালিকার হালনাগাদ অনুযায়ী, সৈয়দপুর পৌর এলাকায় মোট ভোটার সংখ্যা ৮০ হাজার ৩৪৩ জন। এর মধ্যে ৪০ হাজার ৮৬৭ জন পুরুষ ও ৩৯ হাজার ৪৭৬ জন নারী ভোটার রয়েছে। ভোটারদের মধ্যে উর্দুভাষী ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৩৮ হাজার। স্বাধীনতার পর যতগুলো নির্বাচন হয়েছে সবকটি নির্বাচনই উর্দুভাষী ভোটাররা প্রার্থীর জয়-পরাজয়ে বড় ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করেছে। আর ভোট ব্যাংক হিসেবে পরিচিত এ সকল মানুষকে পক্ষে নেয়ার জন্য সবাই কজে করেন বলে জানা গেছে। এসএস/এমএস
Advertisement