সেই ১৯৭৬ সাল থেকে চলছে অস্ট্রেলিয়ান পেসারদের গতির আধিক্য। অস্ট্রেলিয়ান পেসার জেফ টমসন পার্থে বোলিং প্রতিযোগিতায় ঘণ্টায় ১৬০.৬ কিলোমিটার বেগে বল করে নিজেকে সর্বোচ্চ গতির বোলারের আসনে বসান,সেই সাথে সাথে অস্ট্রেলিয়াকেও। কিন্তু ২০০৩ এর বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘণ্টায় ১৬১.৩ কিলোমিটারে বল করে সেই রেকর্ড নিজের করে নেন পাকিস্তানি বোলার শোয়েব আকতার। সেই সাথে শুরু হয় অস্ট্রেলিয়ার আসন পুনরুদ্ধারের প্রকিয়া। প্রথমে এই দায়িত্ব নেন ক্রিকেট ইতিহাসে গতি তারকা ব্রেট লি। ব্রেট লি একবার নয় তিনবার ঘণ্টায় ১৬০+ কিলোমিটারে বল করেন। ব্রেট লি ২০০৩ এর বিশ্বকাপে ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটারে, ২০০৫ এ নিউজিল্যান্ডের সাথে ওয়ানডে সিরিজে ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার ও ঘণ্টায় ১৬১.১ কিলোমিটারে বল করে ইতিহাসের দ্রুততম বোলার হতে ব্যর্থ হন। এর আগে ২০০১ সালে টেস্টে একবার ঘণ্টায় ১৬০.৮ কিলোমিটারে বল করেছিল। কিন্তু চ্যানেল নাইন তাদের যান্ত্রিক ত্রুটির কথা বললে সেই বলটি ইতিহাসের দ্রুততম বলের মর্যাদা হারায়।ব্রেট লি দ্রুততম বোলার হতে ব্যর্থ হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দ্বায়িত্বটা কাধে তুলে নেন শন টেইট। শন টেইট প্রথমে অস্ট্রেলিয়ান ঘরোয়া ক্রিকেটে ঘণ্টায় ১৬০.৭ কিলোমিটার এবং ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘণ্টায় ১৬১.১ কিলোমিটার বেগে বল করলেও নিজের সাথে সাথে অষ্টেলিয়াকেও সর্বোচ্চ দ্রুততম বোলারের তালিকায় প্রথমে উঠাতে ব্যর্থ হয়।শন টেইট পর আবির্ভাব ঘটে মিচেল স্টার্কের। চলমান অষ্টেলিয়া-নিউজিল্যান্ড টেস্টে ঘণ্টায় ১৬০.৪ কিলোমিটার বেগে বল করে টেস্টের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গতির বোলার হলেও শোয়েব আকতারের রেকর্ড কিন্তু ভাঙ্গতে পারে নি।দ্রুততম বোলিং:১। ১৬১.৩ (কিমি/ঘণ্টা) শোয়েব আখতার ,পাকিস্তান-ইংল্যান্ড (ওয়ানডে) কেপটাউন,২০০৩২। ১৬১.১শন টেইট ,অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড (ওয়ানডে)লর্ডস, ২০১০৩| ১৬১.১ ব্রেট লি অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড (ওয়ানডে)নেপিয়ার, ২০০৫৪| ১৬০.৬ জেফ টমসন অস্ট্রেলিয়া (বোলিং প্রতিযোগিতা)পার্থ, ১৯৭৬৫| ১৬০.৪ মিচেল স্টার্ক ,অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড (টেস্ট)পার্থ, ২০১৫সর্বোচ্চ গতির বলের সংখ্যা:১। অস্ট্রেলিয়ার বোলার ব্রেট লির ৩ টি, শন টেইটের ২ টি, মিচেল স্টার্কের ১ টি, জেফ টমসনের ১ টি২। পাকিস্তানের বোলার শোয়েব আকতার ১ টি।উপরের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায় ইতিহাসে দ্রুততম ১ম ৮ টি বলের মধ্যে ৭ টি বলই করেছে অষ্টেলিয়া। তাই ক্রিকেট বোলিংয়ে গতির রাজা অস্ট্রেলিয়াকে বলাই যায়।এমআর/পিআর
Advertisement