ওয়াশিংটনের অভিজাত এলাকা কালোরামায় বহু বছর ধরেই আবাস গড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক সাবেক-বর্তমান নেতা, মন্ত্রী বা তাদের পরিবারের সদস্যরা। এলিট শ্রেণির এসব লোকের নিরাপত্তায় কাজ করে সিক্রেট সার্ভিসের মতো নিরাপত্তা সংস্থাগুলো। এতদিন এই এজেন্টদের মাথাব্যথা ছিল হুমকি-ধামকি, সন্দেহভাজনদের আনাগোনা বা অনুপ্রবেশ ঠেকানো নিয়ে। কিন্তু এখন নাকি ঝামেলা হয়েছে টয়লেট নিয়েও।
Advertisement
সম্প্রতি ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কা এবং তার স্বামী জ্যারেড কুশনার একটি বাড়ি কিনেছেন কালোরামায়। বিশাল ওই বাড়িতে রয়েছে অন্তত ছয়টি টয়লেট। কিন্তু সেগুলোর একটিতেও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টদের ঢুকতে দেন না ট্রাম্পকন্যা।
প্রতিবেশী এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ইভাঙ্কার বাড়ির সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টরা প্রথমদিকে পাশে থাকা সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বাসভবন এবং একটু দূরে বর্তমান ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের বাসার বাথরুম ব্যবহার করতেন। পরে তাদের একটি ভ্রাম্যমাণ টয়লেট (পোর্টা-পটি) দেয়া হয়।
কিন্তু এসবের জন্য টাকা গুনতে হয়েছে মার্কিনি করদাতাদেরই। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকার ইভাঙ্কা পরিবারের এক প্রতিবেশীর কাছ থেকে টয়লেটসহ একটি বেসমেন্ট স্টুডিও ভাড়া নিয়ে প্রতিমাসে তিন হাজার ডলার করে এপর্যন্ত অন্তত এক লাখ ডলার খরচ করেছে।
Advertisement
তবে হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন যে, ইভাঙ্কা-কুশনার তাদের পাঁচ হাজার বর্গফুটের বাড়ির টয়লেটগুলো এজেন্টদের ব্যবহার করতে দেননি। তার দাবি, এটি সিক্রেট সার্ভিসেরই সিদ্ধান্ত ছিল, যেন ভেতরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার খবর বাইরে না আসে।
কিন্তু হোয়াইট হাউসের এই দাবি মিথ্যা বলে জানিয়েছেন সিক্রেট সার্ভিসের এক মুখপাত্র। তিনি বলেছেন, সংস্থাটি নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনায় কী কী উপায়, পদ্ধতি বা সংস্থান ব্যবহার করা হয়েছে তা নিয়ে কখনো কারও সঙ্গে আলোচনা করে না।
ইভাঙ্কা-কুশনারের আচরণ নিয়ে অভিযোগ রয়েছে প্রতিবেশীদেরও। ডায়ানে ব্রুস নামে সাবেক এক প্রতিবেশী বলেন, তাদের ভাবসাব অনেকটা এমন ছিল যে, আমরা রাজপরিবার। তারা ফুটপাতের পাশে ভ্রাম্যমাণ টয়লেট বসানোর পর আমাদের আর হাঁটতে দেয়া হয়নি। ট্রাম্প-পরিবারের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টদের দুর্দশা নিয়ে সহানুভূতিও জানিয়েছেন এ নারী। ভ্রাম্যমাণ টয়লেটটি সরিয়ে নেয়ার সময় তাদের কী কষ্টভোগ করতে হয়েছে তা উল্লেখ করে ডায়ানে বলেন, তারা কী বাথরুম করতে গাড়ির ভেতর যাবে? দুঃখজনকভাবে সেটাই করতে হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি
Advertisement
কেএএ/এমএস