খুলনায় প্রথম ধাপে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এ জন্য গত নভেম্বরেই স্বাস্থ্য অধিদফতরে চাহিদাপত্র দেয়া হয়। প্রাথমিকভাবে প্রথম ধাপে করোনার সম্মুখসারির ৯৭ হাজার ব্যক্তিকে ভ্যাকসিন দেয়া হবে জানিয়েছে খুলনার সিভিল সার্জন দফতর।
Advertisement
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে খুলনায় আসতে পারে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন। এটি সঠিকভাবে প্রয়োগের জন্য স্বাস্থ্যকর্মীদেরকে যথাযথ প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
খুলনার সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চাহিদা অনুযায়ী খুলনা মহানগর ও জেলার ৯টি উপজেলায় করোনা সম্মুখসারির জনগোষ্ঠীর নামের তালিকা তৈরি করতে ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় যাদের ভ্যাকসিন দেয়া হবে তাদের নামের তালিকা প্রস্তুত করতে আগামী শনিবার থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র, নাম ও ঠিকানা সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিভিল সার্জন কার্যালয়। তবে নগরের টিকাকরণ কর্মসূচি কার্যক্রম পরিচালনা করবে খুলনা সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ।
ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম শুরুর আগে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠীর তালিকা প্রণয়ন এবং ভ্যাকসিন প্রদানে নগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মনিটরিং কমিটি গঠন করেছে খুলনা স্বাস্থ্য বিভাগ।
Advertisement
খুলনা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, খুলনায় প্রাথমিকভাবে ৯৭ হাজার ২৩০ জন করোনা মোকাবিলায় সম্মুখসারির কর্মীকে ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য প্রস্ততি নেয়া হয়েছে। এর জন্য তালিকা প্রণয়ন করে স্বাস্থ্য অধিদফতরে চাহিদা পাঠায় সিভিল সার্জনের দফতর।
চাহিদা অনুসারে প্রথম পর্যায়ে খুলনা সিটি করপোরেশন ও দুটি পৌরসভার ১ হাজার ৬৯০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভ্যাকসিন পাচ্ছেন। এছাড়া ওই তালিকায় খুলনায় কর্মরত সরকারি কর্মচারী রয়েছে ৩০ হাজার ৬০৬ জন, সরকারি হাসপাতালে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী ৪ হাজার ১৩০ জন, বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী ৮ হাজার ১০১ জন, আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে সশস্ত্র বাহিনী সদস্য রয়েছে ৫৪৮ জন, বিজিবি সদস্য ৪১৩ জন, পুলিশ সদস্য ১ হাজার ৮৫৯ জন, আনসার ও ভিডিপির সদস্য ৮ হাজার ৯৯৩ জন, স্থানীয় সরকার বিভাগের কর্মচারীর মধ্যে জেলা পরিষদ পাচ্ছে ২৯৫, উপজেলা পরিষদ পাচ্ছে ১ হাজার ৯১, ইউনিয়ন পরিষদ পাবে ১ হাজার ২৭৩, শিক্ষাকর্মী মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীর সংখ্যা ১৬ হাজার ৭৮৪ ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীর সংখ্যা ২০ হাজার ৯০০ জন। তালিকায় প্রথম পর্যায়ে খুলনায় কর্মরত ৫৪৭ জন গণমাধ্যমকর্মীও ভ্যাকসিন পাবেন।
খুলনা সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে ভ্যাকসিন আসার সম্ভাবনা রয়েছে। আসার সঙ্গে সঙ্গে একটি কমিটি গঠনের মাধ্যমে প্রথম পর্যায়ে দ্রুত ভ্যাকসিন দেয়া হবে। এ জন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, চাহিদা অনুযায়ী যেসব ব্যক্তি ভ্যাকসিন পাবেন, আগামী সপ্তাহের ভেতরে তাদের নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করে গ্রহীতার নামের তালিকা প্রস্তুত করে স্বাস্থ্য অধিদফতরে পাঠানো হবে। এর জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে নেয়া হয়েছে।
Advertisement
আলমগীর হান্নান/এমএসএইচ/জেআইএম