নামাজের শেষ বৈঠকে সালাম ফেরানোর আগে একটি দোয়া পড়লে গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয় বলেছেন বিশ্বনবি। গোনাহ ক্ষমা করে দেয়ার এ ঘোষণাটি তিনি ৩ বার দিয়েছেন। কী সেই দোয়া?
Advertisement
হজরত মিহজান ইবনে আদরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদিন মসজিদে প্রবেশ করে দেখলেন এক ব্যক্তি তাশাহহুদ পড়ে নামাজ শেষ করার আগে (গোনাহ থেকে ক্ষমা পেতে) বলছিলেন-
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ يَا أَللَّهُ بِأَنَّكَ الْوَاحِدُ الْأَحَدُ الصَّمَدُ، الَّذِي لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ، أَنْ تَغْفِرَ لِي ذُنُوبِي، إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা; ইয়া আল্লাহু; বিআন্নাকাল ওয়াহিদুল আহাদুস সামাদ; আল্লাজি লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ; ওয়া লাম ইয়াকুন লাহু কুফুওয়ান আহাদ; আন তাগফিরলি জুনুবি; ইন্নাকা আনতাল গাফুরুর রাহিম।’
Advertisement
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে চাই। হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আপনি তো সেই সত্তা যিনি এক ও একক এবং অমুখাপেক্ষী। যিনি কাউকে জন্ম দেননি আর তাঁকেও কেউ জন্ম দেয়নি। তার সমকক্ষ কেউ নেই। আপনি আমার গোনাহগুলো ক্ষমা করে দেন। নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল ও দয়ালু।’
তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তাঁকে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে। ক্ষমা করে দেয়ার কথাটি তিনি ৩ বার বলেছেন।’ (নাসাঈ)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, নামাজের শেষ বৈঠকে তাশাহহুদ ও দরূদ পড়ার পর এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়া। নিজেদের গোনাহ থেকে মুক্ত করে নেয়া।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নামাজের শেষ বৈঠকে তাশাহহুদ ও দরূদ পড়ার পর হাদিসে ঘোষিত গোনাহমুক্ত হওয়ার এ দোয়াটি পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
Advertisement
এমএমএস/জেআইএম