খেলাধুলা

যে কারণে দাদিকে শেষবার দেখতে যেতে পারলেন না সাকিব

জেমকন খুলনার হয়ে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্ট কাপের ফাইনাল না খেলেই যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয়েছিল বাংলাদেশ দলের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে। কারণ ছিল তার শ্বশুরের অসুস্থতা। পরে সাকিব বিমানে থাকতেই পরপারে পাড়ি জমান তার শ্বশুর মমতাজ আহমেদ।

Advertisement

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩ জানুয়ারি দেশে ফেরেন সাকিব আল হাসান। এসেই তিনি নেমে পড়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রস্তুতিতে। আজ বিকেএসপিতে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ।

কিন্তু তার আগেই দুঃসংবাদ শুনতে হলো সাকিব আল হাসানকে। মাগুরায় গ্রামের বাড়িতে বুধবার রাতে মৃত্যুবরণ করেন তার দাদি রেবেকা নাহার (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ (বৃহস্পতিবার) বাদ জোহর মাগুরার সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে মরহুমার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

তবে দেশে থেকেও দাদিকে শেষ দেখার জন্যও যেতে পারলেন না সাকিব আল হাসান। নিয়তির এমন নিষ্ঠুর আচরণ, করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট বায়ো-বাবলের (জৈব সুরক্ষ বলয়) মধ্যে থাকার কারণে সাকিবের কোথাও যাওয়ার সুযোগ নেই।

Advertisement

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টিতে ফাইনাল হলেও সেটা ছিল ঘরোয়া টুর্নামেন্ট। ব্যক্তিগত জরুরি কারণকেই প্রাধান্য দিয়েছেন সাকিব। কিন্তু এবার পরিস্থিতি পুরোপুরি ভিন্ন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক সিরিজ সামনে। দেশের হয়ে খেলতে হবে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ উপলক্ষে বাংলাদেশ দলের ২৪ জন ক্রিকেটারকে প্রবেশ করানো হয়েছে জৈব সুরক্ষা বলয়ে। করোনা পরবর্তী সময়ে এটাই বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ। প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যারা বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। যার ক্ষমতা রয়েছে, প্রতিশ্রুত করোনা প্রটোকলের কোনো ব্যত্যয় ঘটলে বিনা নোটিশে পুরো দল নিয়ে ফিরে যাওয়ার।

এ কারণে বিসিবি কোচিং স্টাফ থেকে শুরু করে টিমসংশ্লিষ্ট এমনকি মিডিয়া ম্যানেজারকে পর্যন্ত প্রবেশ করিয়েছেন বায়ো বাবলের মধ্যে।

এখন সাকিব আল হাসান যদি সেই জৈব সুরক্ষা বলয় ভেঙে মাগুরা যেতেন, তাহলে তাকে ফিরে এসে আবারও তিন থেকে চারদিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হতো। করোনা টেস্ট করতে হতো। নানা ঝামেলা শেষ করে আবারও ঢুকতে হতো বায়ো-বাবলের মধ্যে। সুতরাং এতসব কিছুর মধ্যে থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটাই মিস হয়ে যেত সাকিবের।

Advertisement

এ ঝুঁকি তিনি আর নিতে চাননি। দেশের প্রয়োজনেই সাকিবের দাদির জানাজায় অংশ নিতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত। যদিও দাদির মৃত্যুর সংবাদ যে সাকিব পুরোপুরি হজম করতে পারেননি, সেটা দেখা গেল বিকেএসপিতে প্রস্তুতি ম্যাচে সাকিবের পারফরম্যান্স দেখে। বল হাতে তো পুরোপুরি ব্যর্থ। ব্যাট হাতেও সাকুল্যে ৯ রান করেছেন তিনি।

সাকিবের বাবা মাশরুর রেজা মাগুরায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ সামনে রেখে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বায়ো সিকিউর বাবলে (জৈব সুরক্ষা বলয়) থাকার কারণে, দাদিকে শেষবারের মতো দেখতে মাগুরায় আসতে পারবে না সাকিব।’

আইএইচএস/জেআইএম