ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জস্থ শিমরাইলের ইউটার্ন পয়েন্ট ও সাইনবোর্ড মোড়ে ফুটওভার ব্রিজ না থাকায় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছে। ফলে এ দুটি স্থানে যানজট যেন নিত্যনৈমিত্তিক এক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
Advertisement
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে পূর্বাঞ্চলের ১৬টি জেলার যানবাহন নিয়মিত চলাচল করে। দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল করা সত্ত্বেও ফুটওভার ব্রিজ না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হওয়ায় এ দুটি স্থানে হরহামেশাই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিমরাইলের ইউটার্ন পয়েন্টে কিছু সময় পর পর হাত উঁচিয়ে গাড়ি থামিয়ে পথচারীরা রাস্তা পার হচ্ছে। গাড়ি না থামলে কেউ কেউ দৌড়ে রাস্তা পার হচ্ছে।
ইউটার্ন পয়েন্ট হওয়ায় বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকার ও লেগুনা এক পাশ থেকে আরেক পাশে যাচ্ছে। অথচ অধিকাংশ সময় এখানে ট্রাফিক পুলিশের দেখা মিলে না।
Advertisement
অন্যদিকে সাইনবোর্ড মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, পথচারীদের রাস্তা পার করে দিতে ট্রাফিক পুলিশ একটু পর পর ঢাকা ও চট্টগ্রামমুখী গাড়িগুলোকে দাঁড় করিয়ে রাখছে। ফলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
শিমরাইল ইউটার্ন দিয়ে রাস্তা পার হওয়া পথচারী রিয়াজুল হাসান বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক একটি ব্যস্ততম সড়ক। ফুটওভার ব্রিজ না থাকায় সাধারণ মানুষ ঝুঁকি নিয়ে ইউটার্ন দিয়ে রাস্তা পারাপার হয়। ব্রিজ থাকলে মানুষ দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতো।
সাইনবোর্ড এলাকা দিয়ে রাস্তা পার হওয়া আরেক পথচারী রাশেদুল ইসলাম বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ি আসা-যাওয়া করে। এখানে ফুটওভার ব্রিজ না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন অনেক মানুষ রাস্তা পার হচ্ছে। তাই সরকারের কাছে ফুটওভার ব্রিজের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের (টি.আই) ট্রাফিক ইন্সপেক্টর কামরুল ইসলাম বেগ জাগো নিউজকে বলেন, দ্রুত গতিতে গাড়ি চলাচল করা সত্ত্বেও শিমরাইল ইউটার্ন ও সাইনবোর্ড মোড় দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে মানুষ রাস্তা পার হয়। তবে শিমরাইল ইউটার্ন থেকে ফুটওভার ব্রিজ দূরে হওয়ায় অনেকে তা ব্যবহারও করতে চায় না বলে জানান তিনি।
Advertisement
এ বিষয়ে জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, সাইনবোর্ডে খুব শিগগীরই ফুটওভার ব্রিজের কাজ শুরু হবে। তবে শিমরাইল ইউটার্নে ফুটওভার ব্রিজ করার কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই।
এস কে শাওন/এসএমএম/এমকেএইচ