শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার রাত ৯টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জোরপূর্বক জমির ধান কেটে নেয়াসহ স্থানীয় এক কৃষক দম্পতিকে হাত-পা বেঁধে মারপিটের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামি হিসেবে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।পুলিশ জানায়, হাতিবান্ধা গ্রামের কৃষক রেজাউল করিমের ৫৩ শতাংশ রেকর্ডীয় জমি ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন জোরপূর্বক ভোগ-দখল করে আসছিলেন। এনিয়ে আদালতে মামলা-মোকাদ্দমার একপর্যায়ে আদালত নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করে এবং রেজাউল করিমকে ওই জমির দখল বুঝিয়ে দেন।গত শুক্রবার ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন ও তার লোকজন আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ওই জমির পাকা ধান জোরপূর্বক কেটে নিয়ে যায়। এসময় রেজাউল করিম ও তার স্ত্রী লাভলী বেগম প্রতিবাদ করতে গেলে নাসির উদ্দিন ও তার লোকজন তাদের ধরে বাড়িতে নিয়ে হাত-পা বেঁধে বেধরক মারপিট করে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিনের বাড়ি থেকে ওই কৃষক দম্পতিকে উদ্ধার করে।এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিনসহ চারজনকে আসামি করে ঝিনাইগাতি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হওয়ায় থানার ওসি মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রোববার রাতে নাসির উদ্দিনকে গ্রেফতার করে।পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারী, এলজিএসপির টাকা ও টিআরের চাল আত্মসাতসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগে প্রায় এক ডজন মামলা রয়েছে। গত ৪ বছরে বিভিন্ন সময় তার বিরুদ্ধে এলাকায় একাধিকবার মানববন্ধনসহ নানা প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে ভুক্তভোগীরা।ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিনের গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়ায় হাতিবান্ধা ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি নেমে এসেছে।শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল ওয়ারিশ ঝিনাইগাতির হাতিবান্ধা ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দনকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।হাকিম বাবুল/বিএ
Advertisement