মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত বিখ্যাত গবেষণা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি বিশ্বের সেরা দুই শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকা প্রকাশ করেছে। এ তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলাম।
Advertisement
অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগে ২০০৭ সালে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। ২০১০ সালে তিনি জাপান সরকারের শিক্ষাবৃত্তিপ্রাপ্ত হয়ে জাপান গমন করেন এবং ইয়োকহোমা ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে তিনি জাপানের টোকিও ইউনিভার্সিটি থেকে পোস্ট ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। এ পর্যন্ত তার দেড় শতাধিক গবেষণা প্রবন্ধ বিভিন্ন আস্তর্জাতিক ও দেশীয় জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
শিক্ষাজীবনে একাধিকবার স্বর্ণপদক ও সম্মানজনক সনদপ্রাপ্ত এই অধ্যাপক বর্তমানে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন।
অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানীর তালিকায় অন্যতম বিজ্ঞানী ও গবেষক হিসেবে স্থান পাওয়ায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর (রুটিন দায়িত্ব) প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত। অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘২০০৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত আমার যত পাবলিকেশন রিসার্স বিশ্বের বিজ্ঞানীরা রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করছেন, তার ভিত্তিতে বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীর তালিকায় আমার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ তালিকায় বাংলাদেশের মোট ৪৫ জন বিজ্ঞানীর নাম রয়েছে।’
Advertisement
তিনি আরও বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত বিখ্যাত গবেষণা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি বিশ্বের সেরা দুই শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকায় বিজ্ঞানী ও গবেষক হিসেবে স্থান করে নেয়ায় অবশ্যই ভালো লাগা কাজ করছে। ভবিষ্যৎ এ তালিকায় আমার পবিপ্রবির অনেকে নাম প্রকাশ পাবে। তখন পবিপ্রবি র্যাংকিংয়ে আরও ওপরে আসবে।’
প্রসঙ্গত, বিষয়ভিত্তিক গবেষণা কার্যক্রমে অবদানের ভিত্তিতে গবেষকদের এক বৈশ্বিক ডাটাবেজ তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা থেকে সারা বিশ্বের দেড় লাখেরও বেশি গবেষক বিষয়ভিত্তিক এ তালিকায় স্থান পেয়েছেন। প্রত্যেক বিজ্ঞানীকে তাদের নিজস্ব গবেষণাকাজের সংখ্যা ও সাইটেশনের ভিত্তিতে এ তালিকায় স্থান দেয়া হয়েছে। মহিব্বুল্লাহ চৌধুরী/এসআর/এমএস