২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। রাজধানীর বসুন্ধরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ১৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। বুধবার (১৩ জানুয়ারি) পর্যন্ত মোট মৃত্যু সাত হাজার ৮৩৩ জনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে পুরুষ পাঁচ হাজার ৯৪৩ জন (৭৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ) ও নারী এক হাজার ৮৯০ জন (২৪ দশমিক ১৩ শতাংশ)।
Advertisement
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, করোনায় এ পর্যন্ত মোট মৃত্যুবরণকারী সাত হাজার ৮৩৩ জনের মধ্যে ৮০ শতাংশেরও বেশি রোগীর বয়স ৫০ বছরের বেশি। মোট মৃত্যুর সর্বোচ্চ সংখ্যক ৫৫ শতাংশের বয়স ৬০ বছরের বেশি।
বয়সভিত্তিক হিসেবে মোট মৃত্যু সংখ্যার মধ্যে শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সী ৩৬ জন (শূন্য দশমিক ৪৬ শতাংশ), ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী ৫৯ জন (শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ), ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী ১৬১ জন (দুই দশমিক শূণ্য ৬ শতাংশ), ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ৩৮৭ জন (চার দশমিক ৯৪ শতাংশ), ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ৯০৭ জন (১১ দশমিক ৫৮ শতাংশ), ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী এক হাজার ৯৮৭ জন (২৫ দশমিক ২১ শতাংশ) এবং ৬০ বা তদূর্ধ্ব চার হাজার ৩০৮ জন (৫৫ শতাংশ) রয়েছেন।
এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ১৪ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে পুরুষ ছয়জন ও নারী আটজন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল সাত হাজার ৮৩৩ জনে।
Advertisement
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাবিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯৯টি ল্যাবরেটরিতে ১৬ হাজার ৩৩৮টি নমুনা সংগ্রহ ও ১৫ হাজার ৭২৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৪ লাখ এক হাজার ৫০৬টি। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় রোগী শনাক্ত হয়েছে ৮৯০ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫ লাখ ২৪ হাজার ৯১০ জন।
এদিকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৮৪১ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৬৯ হাজার ৫২২ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হার পাঁচ দশমিক শূন্য ৬৬ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তর হার ১৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক শূন্য ৪৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯শতাংশ।
Advertisement
এমইউ/এএএইচ/এমএস