টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মানেই ধুমধারাক্কা ব্যাটিংয়ের খেলা। কোনো ব্যাটসম্যান যখন উইকেটে সেট হয়ে আশানুরূপ ব্যাটিং না করতে পারে তখন পুরো দলকে তার বোঝা বইতে হয়। প্রায় ১৬ ওভার ব্যাটিং করেও এদিন দলকে বড় সংগ্রহ এনে দিতে পারেননি এনামুল হক বিজয়। প্রাণ-আপ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছে তিন উইকেটে। তবে ম্যাচ হারার পেছনে বিজয়ের নেতিবাচক ব্যাটিংকে একা দায়ী করছেন না দলপতি মাশরাফি। পুরো দল হিসেবেই বাজে খেলেছেন বলে উল্লেখ করেন এই টাইগার।ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেন, “বিজয়ের কথা, আসলে ও রানের গতি বাড়াতে পারেনি। অনেকক্ষণ উইকেটে ছিল, তবে ওর একার কথা বলে লাভ নাই। দল হিসেবেই আমরা ব্যাটিংটা ভালো করতে পারি নাই। আমার মনে হয় ব্যক্তিগতভাবে না যেয়ে বলতে পারি পুরো দল হিসেবেই আমরা বাজে খেলেছি।”এদিন দুই ওপেনিং ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল এবং ইমরুল কায়েসের ব্যাট দারুণ সূচনা পেয়েছিল। ৩ ওভার ৪ বলেই ৩৪ রান করার পর ইনিংস শেষে দলের রান মাত্র ১৩৫। তিন নাম্বারে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেছেন বিজয়। কিন্তু ১৬ ওভার ব্যাটিং করে ৫১ বল খেলার পর দলের প্রত্যাশা ছিল আরও বেশি। নূন্যতম ১২০ থেকে ১২৫ রান রেট নিয়ে আরও কিছু রান দলের হয়ে সংগ্রহ করলে হয়তো ম্যাচের ফলাফল অন্যরকম হতে পারতো। কিন্তু শেষ দিকে রানের চাকা বাড়াতে না পারায় তার স্ট্রাইক রেট দাঁড়ায় ৯২.১৫। আর দলের অন্য ব্যাটসম্যানরা তাই শুরু থেকেই চড়াও হয়ে খেলতে গিয়ে দ্রুতই সাজঘরে ফিরেছেন।বাংলাদেশ দলের কোচও বলেছেন কোনো ব্যাটসম্যান ৩০ বা ৪০ বলের বেশি খেললে পুরো দল তার কাছে প্রত্যাশাটাও বেশি করে। নূন্যতম সে ১২০/১২৫ স্ট্রাইক রেট থাকবে তার নামের পাশে। একই কথা বললেন মাশরাফিও, “কোচ যেটা বললেন যদি কেউ ৩০ অথবা ৪০ বল খেলে তাহলে স্বাভাবিকভাবেই নূন্যতম ১২০/১২৫ স্ট্রাইক রেট চায়। ও হয়তো এটা পারেনি। তবে শুধুই যদি আমরা বিজয়ের কথা বলি তাহলে পুরো চাপটা ওর উপরই যাবে। প্রায় ১৫ ওভারের মতো ব্যাটিং করেছে কিন্তু ও হয়তো শট খেলতে পারছিল না। অনেক দিন পর আসছে সেটাও ভাবতে হবে।”আরটি/বিএ
Advertisement