মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের বিশেষ ভাতা দেয়া হবে। এজন্য যোগ্য প্রার্থীর কাছ থেকে আবেদন চেয়ে সাত দিন পরই তা স্থগিত করা হয়েছে।
Advertisement
গত মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগ।
এতে বলা হয়েছে, ২০২০-২০২১ অর্থবছরের রাজস্ব বাজেটের বিশেষ মঞ্জুরি টাকা পেতে মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের আবেদন গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।
কী কারণে তা স্থগিত করা হলো তার ব্যাখ্যা না দিলেও আবার আবেদন নেয়ার কথা বলা হয়েছে। বিশেষ মঞ্জুরির টাকা পেতে অনলাইনে আবেদন নেয়ার লক্ষ্যে নীতিমালা সংশোধন হচ্ছে। যা শিগগিরই ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। হার্ডকপির পরিবর্তে অনলাইনে আবেদনের সুযোগ দেয়া হবে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করা হবে। তাই, শিক্ষক শিক্ষার্থীদের হার্ডকপিতে আবেদন না পাঠাতে অনুরোধ করেছে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ।
Advertisement
এর আগে গত ৫ জানুয়ারি কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের বাজেট শাখা থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের টাকা পেতে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব বরাবর হার্ডকপিতে আবেদন করতে বলা হয়।
জানা গেছে, ২০২০-২০২১ অর্থবছরের মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী-শিক্ষার্থীরা দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসা, দৈব দুর্ঘটনা এবং চিকিৎসার খরচের জন্য বিশেষ মঞ্জুরির অনুদান প্রাপ্তির আবেদন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী, অসহায়, অসচ্ছল ও মেধাবী, অনগ্রসর সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা অগ্রাধিকার পাবেন।
এছাড়া দেশের সব স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বা এমপিওভুক্ত বেসরকারি কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মেরামত, আসবাবপত্র তৈরি, খেলাধুলার সরঞ্জাম ক্রয়, পাঠাগার উন্নয়ন ও প্রতিষ্ঠানকে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীবান্ধব করার জন্য বিশেষ মঞ্জুরির আবেদন করা যাবে। তবে বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অনগ্রসর এলাকার অসচ্ছল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অগ্রাধিকার পাবে।
জেলা যাচাই-বাছাই কমিটির সুপারিশকৃত আবেদন এবং সরাসরি পাওয়া আবেদনগুলো যাচাইবাছাই করে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ এ সংক্রান্ত কমিটি চূড়ান্ত তালিকা প্রণয়ন করবে বলে জানা গেছে। শিক্ষা বিভাগের সচিব বরাবর বিশেষ মঞ্জুরির আবেদন করতে বলা হয়েছে।
Advertisement
এমএইচএম/এসজে/এমকেএইচ