যুক্তরাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণের লাগাম টানা যাচ্ছে না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশটিতে সংক্রমণ ও মৃত্যু পাল্লা দিয়ে বাড়ছেই। করোনা মহামারির এক বছরে করোনা সংক্রমণে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যুতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ট্রাম্পের দেশ।
Advertisement
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে প্রায় ৪ হাজার ৫শ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। দেশটিতে একদিনে এটাই সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।
ওই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৩৫ হাজার। অপরদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৪ হাজার ৪৭০ জন। কোভিড ট্র্যাকিং প্রোজেক্ট অনুযায়ী, প্রায় ১ লাখ ৩১ হাজার মানুষ সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ৩৩ লাখ ৬৮ হাজার ২২৫। এর মধ্যে মারা গেছে ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৫৯৯। ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ১ কোটি ৩৮ লাখ ১৬ হাজার ২৮ জন। দেশটিতে বর্তমানে করোনার অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৯১ লাখ ৬২ হাজার ৫৯৮। অপরদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছে ২৯ হাজার ২২২ জন।
Advertisement
এখন পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৯ কোটি ২০ লাখ ১২ হাজার ৫১৯ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ১৯ লাখ ৭০ হাজার ৯৫ জন। তবে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬ কোটি ৫৮ লাখ ৫০ হাজার ১২০ জন।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবনে গত বুধবার হামলার ঘটনার পর তিন আইনপ্রণেতার দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়েছে। গত সপ্তাহে ক্যাপিটল ভবনে হামলা চালায় ট্রাম্পের উগ্র সমর্থকরা। এমন নজিরবিহীন হামলার ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে আর দেখা যায়নি।
হামলার সময় এক সঙ্গে কয়েক ঘণ্টা ধরে আইনপ্রণেতারা নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এরপর সেখান থেকে তাদের সরিয়ে নেয়া হয়। গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতা তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পর করোনা আক্রান্তের বিষয়টি ধরা পড়েছে। এরা হলেন-মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের ডেমোক্র্যাট সদস্য বোনি ওয়াটসন কোলেম্যান, প্রমিলা জয়পাল এবং ব্র্যাড শেইডার।
টিটিএন/এমকেএইচ
Advertisement