খেলাধুলা

গুরুতর অপরাধ করেও পার পেয়ে গেল ব্রাদার্স ইউনিয়ন

পেশাদার ফুটবল লিগে চরম অপেশাদার কাণ্ড করলো বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নির্ধারিত সময়ের দুইদিন পর দলবদলে অংশ নিয়েছিল ব্রাদার্স ইউনিয়ন। সেই দলটিকে কোনো শাস্তিই দেয়নি বাফুফে, সুযোগ করে দিয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে খেলার।

Advertisement

নির্ধারিত সময়ে দলবদল না করার কারণে বাফুফে ক্লাবটিকে শোকজ করেছিল। বাফুফের প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি ব্রাদার্সকে ফেডারেশন কাপে খেলার সুযোগ দিলেও লিগের বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখেছিল। তখন বলা হয়েছিল, অপরাধটি গুরুতর বলে এর সিদ্ধান্ত নেবে ডিসিপ্লিনারি কমিটি ও বাফুফের নির্বাহী কমিটি। শেষ পর্যন্ত প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটিই দিলো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

‘গুরুতর অপরাধ’ করা সেই ব্রাদার্স পার পেয়ে গেল কোনো প্রকার শাস্তি ছাড়াই। বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে নির্ধারিত সময়ে দলবদল না করে নজির স্থাপন করা ব্রাদার্সকে ক্ষমা করে দিয়ে যেন অন্যদের নিয়ম ভাঙতে উৎসাহিতই করলো বাফুফে। ফুটবল অঙ্গনের অনেকেরই ধারণা ছিল, ব্রাদার্সকে লিগে খেলার সুযোগ দিলেও বড় অঙ্কের জরিমানা গুনতে হতে পারে। কিন্তু বাফুফে হাঁটলো অন্য পথে।

কেন এমন সিদ্ধান্ত, যা ভবিষ্যতে অন্য ক্লাবগুলোকে নিয়ম ভাঙতে উৎসাহিত করতে পারে? বাফুফের সর্বশেষ নির্বাচনে এই ক্লাবটির তিনজন কর্মকর্তা বিজয়ী হয়েছেন, যাদের একজন সহসভাপতি ও দুইজন সদস্য। সে কারণেই কি কোনো শাস্তি দেয়ার সাহস দেখায়নি বাফুফের প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি?

Advertisement

ব্রাদার্সকে শাস্তি না দেয়ার বাফুফের ব্যাখ্যায় চোখ বোলানো যাক। তারা বলেছে, ‘সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বাফুফের নির্বাহী কমিটির বিস্তারিত আলোচনা, ব্রাদার্স ইউনিয়নের অতীত ঐতিহ্য এবং বাফুফে আয়োজিত সকল প্রতিযোগিতায় নিয়মিত অংশগ্রহণের বিষয়টি বিবেচনা করে ক্লাবটিকে প্রিমিয়ার লিগে খেলার অনুমতি দেয়া হয়েছে।’

অথচ ফেডারেশন কাপের ফাইনালপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে কোচ-খেলোয়াড় না পাঠানোয় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা হয়েছে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবকে। ফাইনালপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ম্যানেজার উপস্থিত থেকেও শাস্তি থেকে বাঁচাতে পারেননি সাইফকে।

আরআই/এমএমআর/জিকেএস

Advertisement