কেন যেন ইনজুরি তার পিছু লেগেই থাকে। মাশরাফির মত অত বড় ইনজুরি গ্রাস না করলেও ছোটখাট ইনজুরি লেগেই থাকে সাইফউদ্দীনের। এ বছরও ইনজুরি ভুগিয়েছে তাকে। এই কদিন আগেও বাঁ-পায়ের গোড়ালিতে ইনজুরি আক্রান্ত ছিলেন। ওই ইনজুরি নিয়ে চিন্তায় ছিলেন এই পেসবোলিং অলরাউন্ডারও।
Advertisement
তবে আশার কথা ইনজুরি কাটিয়ে উঠে প্রথমদিন থেকেই প্র্যাকটিসে সাইফউদ্দীন। নিজের বর্তমান ফিটনেস নিয়ে সন্তুষ্ট সাইফউদ্দীন বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো আছি। তবে খুব চিন্তিত ছিলাম সিরিজের আগে রিকভারি করে উঠতে পারবো কি না। সেরে ওঠার পেছনে ফিজিও বায়েজিদকে কৃতিত্ব দিতে ভোলেননি। বায়েজিদ ভাই অনেক সাহায্য করেছেন। আমাদের ট্রেনার, শাওন ভাই ছিল ফিজিও- উনিও অনেক সাহায্য করেছেন। উনাদের নির্দেশনা মতে লাস্ট কয়েকদিন হার্ট অ্যান্ড সোল ট্রাই করেছি, ওভার অল ভালো।’
সাইফউদ্দীনের ধারনা, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে পেস ডিপার্টমেন্টে বেশ প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে এবার এবং জায়গা পেতে বেশ প্রতিদ্বন্দ্বীতাও হবে।
তাই মুখে এমন সংলাপ, ‘আলহামদুলিল্লাহ! শেষ তিনদিন হাই ইন্টেন্সি নিয়ে প্র্যাকটিস করলাম ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং সবই করলাম। লাস্ট দুই টুর্নামেন্ট বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ ও বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে আমাদের পেসাররা অনেক ভালো করেছে। এ কারণে এই জায়গাটাতেই বেশ প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে, দলে সুযোগ পাওয়া বা সেরা একাদশে সুযোগ পাওয়া নিয়ে। এ জন্য নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছি। বাকিটা আল্লাহর হাতে। সব মিলিয়ে সেশনগুলো খুব উপভোগ করছি। সামনে আরও সুযোগ পাবো প্র্যাকটিসের। ইভেন আমাদের প্র্যাকটিস ম্যাচও আছে। তো আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি অনুশীলন সেশনগুলো থেকে।’
Advertisement
ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে খেলে অবশেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার হাতছানি। খুব স্বাভাবিকভাবেই আর সবার মত সাইফউদ্দীনও পুলকিত। রোমাঞ্চিত। তবে তার সবচেয়ে বড় ভাললাগার কারণ হলো সাকিব আল হাসানের ফিরে আসা। নিষেধাজ্ঞা মুক্ত হয়ে সাকিব ফিরে এসেছেন, এই ভেবে দারুণ খুশি সাইফউদ্দীন।
তার কাছে সাকিবের আবার জাতীয় দলে ফেরাটা একটা অন্যরকম পাওয়া ও ভাললাগা। ‘অনেক খুশির বিষয়, প্রকাশ করার মত নয়। ঘরবন্দী ছিলাম, এর মধ্যে ঘরোয়া খেললাম। আসলে জাতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা সবসময় গর্বের বিষয়। আর সবচেয়ে বড় কথা আমাদের মাঝে এক বছর পর সাকিব ভাই ফিরে এসেছে। এ কারণে ভালো লাগাটা অন্যরকম। আর যেহেতু ঘরের মাঠে আমাদের হোম সিরিজ তাই বাড়তি উদ্দীপনা জোগাচ্ছে আমাদের।’
এআরবি/আইএইচএস/জিকেএস
Advertisement