যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উগ্র সমর্থকদের অন্তত ৭০ হাজার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে টুইটার। এসব অ্যাকাউন্ট থেকে বিতর্কিত কিউঅ্যানন বিষয়ক বার্তা প্রচার করা হতো বলে জানিয়েছে টু্ইটার কর্তৃপক্ষ।
Advertisement
গত সপ্তাহে ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গার পর উসকানি প্রতিরোধে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টরা। এর মধ্যে টুইটারে কিউঅ্যানন বার্তা শেয়ারকারী অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা শুরু হয় গত শুক্রবার থেকে।
উগ্র ডানপন্থী কিউঅ্যানন তত্ত্বের বিশ্বাসীরা মনে করেন, শয়তানের উপাসক ও শিশুনিপীড়ক একটি গোপন সংগঠন বিশ্বব্যাপী শিশুপাচার কার্যক্রম চালাচ্ছে এবং এরা ডোনাল্ড ট্রাম্পের শত্রু। মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই গোপন সংগঠনের বিরুদ্ধে একাই লড়ে যাচ্ছেন। এই লড়াই চালিয়ে যেতে ট্রাম্পের ক্ষমতায় থাকা দরকার বলে বিশ্বাস করেন কিউঅ্যাননরা।
এক ব্লগ পোস্টে টুইটার জানিয়েছে, ইতোমধ্যে ৭০ হাজারের বেশি কিউঅ্যানন-সমর্থক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সেখানে একজনের মাধ্যমে পরিচালিত অনেকগুলো অ্যাকাউন্টও রয়েছে।
Advertisement
ব্লগে বলা হয়েছে, এসব অ্যাকাউন্ট থেকে ক্ষতিকর কিউঅ্যানন বিষয়ক বার্তা শেয়ার করা হতো এবং তারা এ ষড়যন্ত্রতত্ত্ব প্রচারে নিয়োজিত ছিল।
টুইটার জানিয়েছে, অনেক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়ায় ব্যবহারকারীদের কিছু অনুসরণকারী (ফলোয়ার) কমে যেতে পারে।
এছাড়া কংগ্রেসে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে স্বীকৃতি দেয়ার পর গত নভেম্বরের নির্বাচন নিয়ে ভুল তথ্য শেয়ারের বিরুদ্ধেও তৎপর হয়েছে টুইটার কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়ায় টুইটারের সদর দফতরে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে তার উগ্র সমর্থকরা। এ আশঙ্কায় ইতোমধ্যে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে সান ফ্রান্সিসকো পুলিশ।
Advertisement
মার্কিন গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বিক্ষোভের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা না থাকলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে ট্রাম্প-সমর্থকদের টুইটার সদর দফতরের কাছে জড়ো হতে আহ্বান জানানো হচ্ছে।
গত বুধবার ক্যাপিটল ভবনে ট্রাম্পভক্তদের তাণ্ডবে এক পুলিশসহ অন্তত পাঁচজন প্রাণ হারিয়েছেন। এ ধরনের রক্তাক্ত সহিংসতায় উসকানি দেয়ার অভিযোগে গত শুক্রবার বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্টের টুইটার অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়।
ওই সময় বিবৃতিতে টুইটার জানিয়েছিল, তাদের প্রাতিষ্ঠানিক নীতি ভঙ্গের কারণেই ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে।
অবশ্য শুধু টুইটারই নয়, ক্যাপিটল ভবনে হামলায় সমর্থকদের উসকানি দেয়ার অভিযোগে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট সাময়িক বন্ধ করেছিল ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, পিন্টারেস্ট, ইউটিউবের মতো মাধ্যমগুলো।
কেএএ/এমকেএইচ