দেশজুড়ে

সাত খুনের আসামি মর্যাদা পেলে হরিজনরা কেন নয়

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম এম শাহরিয়ার রুমী পদত্যাগ করেছেন। রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানিয়েছেন রুমী।পদত্যাগপত্র বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপনের কাছে পাঠানো হয়েছে বলেও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তার এ সিদ্ধান্তের কথা জানা যায়।বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। কিন্তু দেশ-জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও প্রগতিশীলতার দিকে সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আওয়ামী লীগের কোনো বিকল্প নেই। সেই বিশ্বাস থেকেই তিনি বিএনপি ত্যাগ করছেন।প্রেস বিজ্ঞপ্তির ভাষ্য অনুযায়ী, রুমীর বাবা প্রয়াত আইনজীবী শামসুদ্দীন মোল্লা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। বাংলাদেশের খসড়া সংবিধান রচয়িতাদেরও অন্যতম ছিলেন তিনি। ফরিদপুরে ছাত্রলীগের কর্মী ও নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন রুমী। পরে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য হন। দায়িত্ব পান প্রচার ও অর্থ সম্পাদকের। এরপর যোগ দেন আওয়ামী লীগে। আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপ-কমিটির সদস্য হন। ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে ফরিদপুর-৫ (ভাঙ্গা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন।আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে যোগ দিয়ে সর্বশেষ ফরিদপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হন তিনি। এখন আবার বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে বাকি জীবন আওয়ামী লীগের আদর্শের কর্মী হয়ে দেশ ও জনগণের সেবার আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।ফরিদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সৈয়দ মোদাররেছ আলী ইছা জানান, দীর্ঘ দিন তিনি দলের কাজে নিস্ক্রিয় ছিলেন। তাছাড়া তিনি অসুস্থ বলে জানি। দল থেকে পদত্যাগ করা সম্পূর্ণ নিজের ব্যাপার। তার ভাল মন্দ তিনি বলতে পারবেন। পদত্যাগের বিষয়ে বিস্তারিত আমি জানি না।ফরিদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি জহুরুল হক শাহজাদা মিয়া বলেন, তিনি পদত্যাগ করেছেন এ খবরটি আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমেই পেলাম। কিন্তু তিনি কেন বা কি কারণে পদত্যাগ করেছেন তা আমার জানা নেই। তবে বেশি কিছু দিন যাবত তিনি একটু শারীরিকভাবে অসুস্থ। তার সঙ্গে আমার খুব ভাল সম্পর্ক ছিল। তার পদত্যাগের পূর্বে আমাদের সঙ্গে যোগযোগ হয়নি। এতে বিএনপির কোনো ক্ষতি হবে না বলে আমার বিশ্বাস। এটা তার নিজস্ব ব্যাপার বলে আমি মনে করি।প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি আরো জানান, নির্যাতনের মুখে ও জনগণের স্বার্থে সে সময় বিএনপিতে যোগ দিতে বাধ্য হন তিনি। তবে তার ওই সিদ্ধান্তটি ঠিক ছিল না। তাই বাকি জীবন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির সঙ্গে কাজ করতে চান এম এম শাহরিয়ার রুমী।সালাউদ্দিন কাজল/এআরএ/আরআইপি

Advertisement