জাতীয়

সাকরাইনে ডিজে-আতশবাজি বন্ধে পুলিশের কাছে চিঠি

সাকরাইন তথা ঘুড়ি উৎসবে ডিজে পার্টি, আতশবাজি, ফানুস ও মাদক নিষিদ্ধের কার্যকরী নীতিমালা চেয়ে ডিএমপি কমিশনারের বরাবর চিঠি দিয়েছেন পুরান ঢাকার ৮৩ জন ব্যবসায়ী ও বাড়িওয়ালা। মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে মিন্টো রোডে ডিএমপি কমিশনার বরাবর চিঠি দেন তারা।

Advertisement

চিঠিতে তারা বলেন, ‘আগামী ১৪-১৫ জানুয়ারি ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সাকরাইন তথ্য ঘুড়ি উৎসব পালিত হতে যাচ্ছে। এ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে শাঁখারীবাজার, তাঁতীবাজার, গোয়ালনগর, লক্ষ্মীবাজার, সূত্রাপুর, গেন্ডারিয়া, লালবাগসহ পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকার ছাদে নানা আয়োজন হয়। এর মধ্যে রয়েছে ঘুড়ি উড়ানোর প্রতিযোগিতা, ডিজে পার্টি, আতশবাজি-ফানুস উড়ানো। এ বছরও একই ধরনের ও বড় পরিসরে এ উৎসব আয়োজন করা হবে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।’

তারা বলেন, ‘মূলত সাকরাইন উৎসব আয়োজনে ব্যাপক জনসমাগম ঘটে। এ সময় শুধু পুরান ঢাকা নয়, ঢাকার অন্যান্য এলাকার বাসিন্দারাও পুরান ঢাকার ছাদগুলোতে ভিড় জমান। অথচ করোনা মহামারিকালে যেকোনো ধরনের জনসমাগমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার। এ বছর সাকরাইন উপলক্ষে হাজার হাজার ছাদে লাখ লাখ মানুষের ভিড় তথা জনসমাগম ঘটার সম্ভাবনা আছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি ডেকে আনতে পারে।’

চিঠিতে তারা উল্লেখ করেন, ‘সাকরাইনকে কেন্দ্র করে প্রতিটি বাড়ির ছাদে ফানুস উড়ানো ও আতশবাজি পোড়ানো হয়। অথচ ডিএমপির পক্ষ থেকে ২০১৮ সালে ফানুস উড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়। এ ছাড়া ‘বিস্ফোরক আইন, ১৮৮৪ অনুসারে রঙিন আতশবাজি রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বলার অপেক্ষা রাখে না, ফানুস ও আতশবাজি থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের আশঙ্কা থাকে। সম্প্রতি থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে উড়ানো ফানুস থেকে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের একটি বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ভবনটিতে প্রায় ৮০টির মতো পরিবার বসবাস করতো, অগ্নিকাণ্ডের খবরে আতঙ্কিত হয়ে সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে অনেকেই আহত হন।’

Advertisement

ডিএমপির কাছে তারা দুটি দাবি করেন। তাদের দাবিগুলো হলো- অনলাইন বা মাঠপর্যায়ে (দোকানে) যারা আতশবাজি বা ফানুস ক্রয়-বিক্রয় করছেন তাদের গ্রেফতার করা এবং আইনগত শাস্তির মুখোমুখি করা। দ্বিতীয়ত কোনো বাড়ির ছাদে আইন-শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ (ফানুস উড়ানো, আতশবাজি, ডিজে পার্টি, জনসমাগম, মদ-গাঁজা-ইয়াবা সেবন, আগুন নিয়ে খেলা, উচ্চস্বরে গান বাজানো ইত্যাদি) সংঘটিত হলে তার দায় ওই বাড়ির মালিকের এবং এজন্য তাকেই আইনের কাছে জবাবদিহি করতে হবে- এই মর্মে সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করা।

চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন ডিএসসিসি মেডিকেল রোড সাইড মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারি মুহম্মদ কবির হুসাইন মনা, নাজিরাবাজারের ব্যবসায়ী মুহম্মদ আল রাশিদ, নাসির উদ্দিন সরদার লেনের ব্যবসায়ী ও বাড়িওয়ালা মোহাম্মাদ নজরুল ইসলাম, চকবাজারের বেগমবাজারের ব্যবসায়ী মুহম্মদ কাউসার রহমান, সিদ্দিকবাজারের ব্যবসায়ী মুহম্মদ মোস্তাক, কাজী আলাউদ্দিন রোডের ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান, হোসনী দালান এলাকার বাড়িওয়ালা মুহম্মদ হাসু, মিডিফোর্ড রোডের ব্যবসায়ী ফয়জুর রহমানসহ পুরান ঢাকার ৮৩ ব্যবসায়ী ও বাড়িওয়ালা।

ইএআর/ইএ/এমএস

Advertisement