স্বামী মির্জা আবুল কালাম কাউন্সিলর আর স্ত্রী আসমা আক্তার সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর। একবার নয়, একাধিকবার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন এই দম্পতি।
Advertisement
সেই ধারাবাহিকতায় এবারও তারা বিজয়ী হওয়ার লক্ষে নিজ নিজ ওয়ার্ডে প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। তাদের আশাবাদ এবারও তারা জনগণের রায়ে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাবেন।
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা পৌর নির্বাচনে ভোটের মাঠে লড়ছেন এই দম্পতি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বামী মির্জা আবুল কালাম মুক্তাগাছা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড থেকে চারবার কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমান পৌর পরিষদের এই কাউন্সিলর এবারও নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে উটপাখি প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।
Advertisement
স্ত্রী আসমা আক্তারও টানা তিনবার পৌরসভার ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচিত কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমান পরিষদের এ নারী কাউন্সিলর এবারও নির্বাচন করছেন চশমা প্রতীক নিয়ে।
মুক্তাগাছার ৭নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মির্জা আবুল কালাম উটপাখি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। তিনি এবারও জয়ী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।
এর আগে তিনি ১৯৯৩ সালে প্রথবারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এরপর মাঝখানে একবার পরাজিত হন। বাকি চারবার নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন।
তার সঙ্গে স্ত্রী আসমা আক্তারও ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা আসনের কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে চশমা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়াই করছেন। এর আগে টানা তিনবার বিপুল ভোটের ব্যবধানে সংরক্ষিত মহিলা আসনে বিজয়ী হন তিনি।
Advertisement
ইশ্বরগ্রামের বাসিন্দা রহিমা আক্তার বলেন, সবসময় তারা এলাকাবাসীর খোঁজখবর নেন। বিশেষ করে আসমা আক্তার যেকোনো সমস্যায় মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসেন। এ কারণেই বারবার তাকে ভোট দেই।
একই এলাকার বাসিন্দা চায়ের দোকানদার আইনুল হক বলেন, গরিব-দুঃখী মানুষের বন্ধু মির্জা আবুল কালাম। তারা স্বামী-স্ত্রী সবসময় অসহায় মানুষের পাশে থাকেন।
কাউন্সিলর প্রার্থী মির্জা আবুল কালাম বলেন, তিনি সবসময় এলাকাবাসীর পাশে থাকার চেষ্টা করেন। সেজন্য এলাকার মানুষ তাকে ভালোবেসে বারবার নির্বাচিত করেন। এবারও তিনি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
নারী কাউন্সিলর আসমা আক্তার জানান, তিনি সবসময়ই মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। তাই মানুষ তাকে ভালোবাসা থেকেই ভোট দেন।
মঞ্জুরুল ইসলাম/এসএমএম/এমএস