ছোট বন্যপ্রাণী তক্ষক। নিরীহ এ প্রাণীটি অনেক দিন ধরেই আলোচনায় সংবাদ মাধ্যমে। মহামূল্যবান এ প্রাণীকে নিয়ে যেন রহস্যের শেষ নেই। কারো কাছে এটির দাম লাখ টাকা। কারো কাছে আবার কোটি টাকা।
Advertisement
তক্ষক কারবারি মতিউর রহমান রাঙ্গামাটি থেকে ৪০ হাজার টাকায় কিনে আনেন এক জোড়া তক্ষক। উদ্দেশ্য চড়া দামে বিক্রি।
পরিকল্পনা মতো ১০ লাখ টাকায় তক্ষক বেচার জন্য ক্রেতাও পান তিনি। গোপনে তার বাড়িতে হাজির ক্রেতা। দাম চুকিয়ে জিনিস নিয়ে ফিরবেন। কিন্তু বাধলো সমস্যা, ক্রেতা ছিল র্যাব। শেষে হাতকড়া পরতে হয় মতিউর রহমানকে।
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থেকে তক্ষক পাচারের সময় মতিউর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে র্যাব।
Advertisement
সোমবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে করিমগঞ্জের গুনধর উজান বরাটিয়া এলাকা থেকে এই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে দুটি তক্ষক উদ্ধার করে র্যাব।
তিনি ওই গ্রামের মৃত আ. গফুরের ছেলে।
র্যাব জানায়, মতিউর রহমান কয়েক দিন আগে রাঙ্গামাটি থেকে দুটি তক্ষক আনেন। এগুলো ১০ লাখ টাকায় বিক্রি করার চেষ্টা করছিলেন তিনি।
র্যাব-১৪ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের অধিনায়ক লে. কমান্ডার এম শোভন খান জানান, গোপনে এ খবর পেয়ে ক্রেতা সেজে র্যাব সদস্যরা ১৬ ইঞ্চি লম্বা দুটি তক্ষক, ২১ হাজার নগদ টাকা ও মোবাইল ফোনসহ তাকে আটক করে।
Advertisement
এ ব্যাপারে করিমগঞ্জ থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
নূর মোহাম্মদ/এসএমএম/এমকেএইচ