সরকারের কাছ থেকে নেয়া লিজের জমি সাব-লিজ দেয়া যাবে না। একইসঙ্গে জমির শ্রেণি, আকার, প্রকারেও কোনো ধরনের পরিবর্তন আনা যাবে না।
Advertisement
এমন নিয়ম রেখে গত ৬ জানুয়ারি সংশোধিত ‘অর্পিত সম্পত্তির অস্থায়ী ইজারার সালামির হার পুনঃনির্ধারণ’ বিষয়ক পরিপত্র জারি করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
সংশোধিত পরিপত্রে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে ইজারাকৃত প্রত্যর্পণযোগ্য অর্পিত সম্পত্তি মেরামতের ক্ষেত্রে ইজারা গ্রহীতা জেলা প্রশাসক/উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতিক্রমে অবকাঠামোর কোনোরূপ পরিবর্তন না করে অথবা কোনো নতুন স্থাপনা নির্মাণ না করে নিজ ব্যয়ে বর্তমান স্থাপনার প্রয়োজনীয় মেরামত কাজ করতে পারবেন। তবে মেরামত বাবদ সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির বার্ষিক ইজারার টাকার সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ ব্যয় করা যাবে।
‘অর্পিত বাড়ি-ঘরের সালামি বর্গফুট নির্ধারণের হার বহাল থাকবে। তবে বাড়ি ঘরের অবস্থা ও অবস্থান বিবেচনা করে নির্ধারিত ভাড়ার সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কম-বেশি করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকের সুনির্দিষ্ট যৌক্তিকতা, ব্যাখ্যাসহ সুপারিশ বিভাগীয় কমিশনারের অনুমোদিত হতে হবে এবং ভূমি মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে হবে।’
Advertisement
এতে আরও বলা হয়, খালি জমি ইজারা নেয়ার পর জেলা প্রশাসকের অনুমোদন নিয়ে নিজ খরচে ঘর উঠালে সেক্ষেত্রে ওই খালি জমির নির্ধারিত ইজারা মূল্যের সঙ্গে অবকাঠামোর জন্য নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত হিসেবে আরও ২০ শতাংশ ইজারা গ্রহীতাকে পরিশোধ করতে হবে।
লিজ-গ্রহীতা ও জেলা প্রশাসকদের মতামতের ভিত্তিতে সালামির অর্থ আদায়যোগ্য এবং জনবান্ধব করতে ভূমি মন্ত্রণালয় অর্পিত সম্পত্তি বিষয়ে কতিপয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এর ভিত্তিতে ভূমি মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালের ৩ ডিসেম্বর ‘অর্পিত সম্পত্তির অস্থায়ী ভিত্তিতে ইজারার সালামির হার পুনঃনির্ধারণ’ বিষয়ক পরিপত্র জারি করে।
আরএমএম/এআরএ/এমএস
Advertisement