সোমবার (১১ জানুয়ারি) জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের কো-অর্ডিনেটর রিপন পল স্ক্রু সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানিয়েছেন।
Advertisement
সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০২০ সালের ২৫ মার্চ করোনা মোকাবিলায় সরকার সব অফিস-আদালত বন্ধ ঘোষণা করে। প্রায় ৬৬ দিন অফিস বন্ধ থাকার পর ৩১ মে থেকে অফিস-আদালত সরকারের নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে খুলতে শুরু করে। কিন্তু করোনার কারণে স্বাভাবিক জীবন যেমন ওষ্ঠাগত তেমনি সরকারি আইন সহায়তা প্রত্যাশীদেরও কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অফিসে আসতে হচ্ছে।
এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে দেশে প্রথমবারের মতো ভার্চুয়াল কোর্ট চালু হলে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড অফিস প্যানেল আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়ে সরকারি আইনি সেবা প্রদান অব্যাহত রেখে চলেছে। নিজেরা সুস্থ থাকার পাশাপাশি অফিসে আগত আইন সহায়তা প্রত্যাশীদের সুস্থতার দিকে লক্ষ্য রেখে কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বিভিন্ন সময়ে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়। পাশাপাশি এই করোনাকালেও কিভাবে নিরাপদ থেকে সরকারি আইনগত সহায়তা অব্যাহত রাখা যায় সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
Advertisement
এর আগে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান ও হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড অফিস থেকে করোনাকালেও গত ৬ মাসে ১ হাজার ২৭৫ জন আইন সহায়তা প্রত্যাশীদের আইনি পরামর্শ দেয়া হয়েছে। যাদের মধ্যে নারীর সংখ্যা ৩৫৪ ও পুরুষের সংখ্যা ৮৮১ জন।
অন্যদিকে ৫৪টি মামলায় আইনজীবী নিয়োগ করে অসহায় বিচারপ্রার্থীদের আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করা হয়। শুধু তাই নয়, প্যানেল আইনজীবীদের পেশাগত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের কারণে করোনাকালীন গত গত ছয় মাসে ৩৩টি মামলার নিষ্পত্তি সম্ভব হয়েছে।
এফএইচ/এমআরআর/এমএস
Advertisement