আন্তর্জাতিক

আমেরিকায় কোকেন পাচারে সাহায্য করেছিলেন হন্ডুরাসের প্রেসিডেন্ট!

হন্ডুরাসের প্রেসিডেন্ট জুয়ান অরল্যান্ডো হার্নান্দেজ এক মাদক পাচারকারীকে যুক্তরাষ্ট্রে কয়েক হাজার কেজি কোকেন পাচারে সহযোগিতা করেছিলেন বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল প্রসিকিউটররা। তবে তাদের এ দাবি ‘শতভাগ মিথ্যা’ বলে মন্তব্য করেছে হন্ডুরাস। খবর সিএনএন’র।

Advertisement

নিউ ইয়র্কের দক্ষিণাঞ্চলের জেলা আদালতে প্রসিকিউটররা শুক্রবার এ সংক্রান্ত একটি নথি দায়ের করেছেন। নথিতে মাদক পাচারকারী হিসেবে অভিযুক্ত জিওভান্নি ফুয়েন্তেস রামিরেজের বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি মামলার বিস্তারিত প্রমাণ তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে ২০১৩ ও ’১৪ সালে ফুয়েন্তেস ও প্রেসিডেন্ট হার্নান্দেজের মধ্যকার অর্থ বিনিময় ও প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে সাক্ষ্য-প্রমাণও হাজির করা হয়েছে।

নথিতে হন্ডুরাসের প্রেসিডেন্টের নাম উল্লেখ করা হয়নি। তাকে ‘সিসি-ফোর’ নামে উল্লেখ করা হয়। তবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার প্রচারণার বর্ণনা ও ভাইয়ের নামের উল্লেখের মাধ্যমে তাকে সহজেই নথিতে চিহ্নিত করা যায়। নথিতে বলা হয়, ‘মাদক সরাসরি গ্রিংগোদের নাকে ভরে দেয়া হবে’ বলে মন্তব্য করেছিলেন প্রেসিডেন্ট হার্নান্দেজ। উল্লেখ্য লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে মার্কিনিদের গ্রিংগো নামে ডাকা হয়, যার অর্থ ‘বিদেশি’।

নথিতে ফুয়েন্তেস ও হার্নান্দেজের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। সেখানে বলা হয়, ২০১৩ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সময় কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে হার্নান্দেজও ফুয়েন্তেসের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ করেন। এর বিনিময়ে সামরিক সহযোগিতাসহ মাদক বিরোধী অপারেশনে ফুয়েন্তেসকে নিরাপত্তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়।

Advertisement

নথিতে বলা হয়, ‘আনুমানিক ২০১৩ ও ’১৪ সালে সিসি-ফোর ফুয়েন্তেসকে গ্রেফতার ও যুক্তরাষ্ট্রে হস্তান্তর থেকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দেন এবং হন্ডুরাসের সামরিক বাহিনীর সাহায্যে কোকেন পরিবহনের প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি এ কাজে ফুয়েন্তেসের কোকেন কারখানাও ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন কারণ সেখানের কাছেই রয়েছে একটি গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রবন্দর। এছাড়া প্রেসিডেন্টের ছোট ভাই টনি হার্নান্দেজের সঙ্গে ফুয়েন্তেসের কাজ করার সুযোগ তৈরি হবে ও নির্বিঘ্নে মাদক পাচার করা যাবে। তিনি ‘মাদক সরাসরি গ্রিংগোদের নাকে ভরে দেবেন’ বলে মন্তব্য করেন।’

তবে হার্নান্দেজের বিরুদ্ধে মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তিনি জানান, ২০১৯ সালে তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ডিইএ) তদন্ত করেছিল এবং তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

এমকে/জেআইএম

Advertisement