গ্রাহক হয়রানি করে সরকারের তোপের মুখে পড়া গ্রামীণফোন এবার নিজের কর্মীদের মামলায় কাঠগড়ায়। রোববার দেশের বড় এই টেলি যোগাযোগ প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে এর কর্মীরা আদালতে আশ্রয় নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ করেছেন। কর্মীদের অভিযোগ, দুর্নীতির মাধ্যমে কর্মচারীদের প্রায় ৭০০ কোটি টাকা আত্মসাত করেছে গ্রামীণফোন। রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম ইউসুফ হোসেনের আদালতে গ্রামীণফোনের শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের পাঁচ কর্মচারী নালিশি মামলার আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।এতে বিবাদী করা হয়েছে গ্রামীণফোন লিমেটেড, প্রধান নির্বাহী (সিইও), ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য কাজী শাহেদ আহম্মেদ, মাইনুল রহমান ভুইয়া, মাইনুল কাদের ও আহম্মেদ মনজুর দোলাকে।মামলার পাঁচ বাদী গ্রামীণফোন লিমিটেড শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সদস্য। তারা হলেন- গ্রামীণফোন লিমিটেডের পরিবহন শ্রমিক মেহেদী হাসান, মাসদি হাসান, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মো. সোহাগ, অফিস সহকারী আফজাল সোসেন ও অপটিক্যাল ফাইভার অপারেটর নিজাম উদ্দিন।জানা যায়, মামলার বিবাদীরা গ্রামীণফোন ওয়ার্কার্স প্রফিট ফান্ড অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার ফান্ডের ১৩শ’ কর্মচারীর প্রায় ৭০০ কোটি টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন। পাওনা টাকার জন্য আবেদন করলে তাদের বিভিন্নভাবে অপমান ও অপদস্ত করতেন। তাই তারা আদালতের কাছে ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য উপস্থিত হন।মামলার অভিযোগ বলা হয়, ২০১০ সালে সরকার কোম্পানির লাভের ৫ শতাংশ শ্রমিক কর্মচারী মধ্যে বণ্টন করার জন্য ঘোষণা দেয়। ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর গ্রামীণফোন লিমিটেড পরিচালক সভায় তা পাস করা হয়।সূত্র বলছে, গ্রাহক হয়রানি করে সরকারের তোপের মুখে রয়েছে গ্রামীণফোন। সম্প্রতি বিষয়টি সামনে আনেন মন্ত্রিসভার প্রভাবশালী সদস্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে রীতিমতো বিরক্ত প্রকাশ করেন। একই ইস্যুতে শক্ত অবস্থান জানিয়ে জবাবদিহিতায় আনার ঘোষণা দেন ডাক ও টেলিযোগযোগ প্রতিমন্ত্রী তারনা হালিম। তিনি পরবর্তীতে গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষকে ডেকে গ্রাহক হয়রানি বন্ধের নির্দেশ দেন। অন্যদিকে, গ্রামীণফোনের নানা অনিয়ম নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করায় প্রতিষ্ঠানটি দেশের বেসরকারি টেলিভিশন যমুনা টিভি ও প্রভাবশালী বাংলা দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করে দুই হাজার কোটি টাকা ক্ষতি পূরণ দাবি করেছে। এসএ/এসএইচএস/এএইচ/পিআর
Advertisement