দেশজুড়ে

কাঁচাবাজারে ৫ পণ্যে বরিশালবাসীর নাভিশ্বাস

কাঁচাবাজারের বরিশালবাসীর স্বস্তি কেড়েছে পাঁচ পণ্য। চাল, ডাল, আটা, চিনি ও ভোজ্যতেল। গত এক সপ্তাহে চালের দাম নতুন করে না বাড়লেও কমেনি। তবে বাকি চার পণ্যের দাম বাড়তি।

Advertisement

শনিবার (৯ জানুয়ারি) নগরীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

জানা গেছে, চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমদানি শুল্ক কমানো হলেও বরিশালের খুচরা বাজারে পড়েনি কোনো প্রভাব। গত এক সপ্তাহে চালের দাম নতুন করে বাড়েনি, আবার কমেওনি। তবে স্বস্তি মিলেছে শাক-সবজিতে।

খুচরা বাজারে সরু মিনিকেট চাল ৬২-৬৪, ভালো মানের বিআর-২৮ চাল ৫০-৫৪, পাইজাম ৪৮-৫০ টাকা এবং মোটা গুটি ও স্বর্ণা চাল ৪০-৪৪ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এক লিটার খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১১০-১১২ টাকায়, যা এক মাস আগে ১০২-১০৫ টাকা ছিল। বোতলজাত তেল বিক্রি হচ্ছে ১২০-১২৫ টাকায়, যা এক মাস আগে ছিল ১০৫-১১০ টাকা। এছাড়া খুচরা দোকানে মোটা দানার মসুর ডাল ৭০-৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাস খানেক আগেও তা বিক্রি হয়েছে ৬০-৬৫ টাকায়। আটার দাম কেজি প্রতি ৪ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩২ টাকায়।

Advertisement

খোলা চিনির দামও বেড়েছে। সপ্তাহ খানেক আগেও খোলা চিনির কেজি ছিল ৬২ টাকা। এখন তা বেড়ে ৬৫ টাকা হয়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ সবজির কেজি ১৫-৪৫ টাকার মধ্যে রয়েছে। সরবরাহ ঠিক থাকলে পুরো শীতে সবজির দাম সাধ্যের মধ্যে থাকবে।

আলুর সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় খুচরা বাজারে নতুন আলু ২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, যা এক মাস আগেও ছিল ৪৫-৫০ টাকা। বিক্রেতারা জানান, আলুর সরবরাহ আরও বাড়বে। তখন দাম আরও কমতে পারে।

বাজারে সরবরাহ ভালো থাকায় নতুন দেশি পেঁয়াজের দামও কমেছে। দেশি পেঁয়াজ বাজারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪২ টাকায়। এছাড়া ফুলকপি ২০, শিম ৪০, কাঁচা মরিচ ১০০, বাঁধাকপি ২০, শালগম ১৫, বরবটি ৫৫, গাজর ৩০, মুলা ১৫, ধনেপাতা ১০০, শসা ৩০, গাজর ৩০, পেঁপে ৩০, বেগুন ৪০, টমেটো ৪০, আদা ৭৫ ও রসুন ১১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

Advertisement

গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০-৬০০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগি ১২৫, কক ১৮০, সোনালি ১৮০ এবং লেয়ার মুরগি ১৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের মুরগির ডিমের হালি ২৮ টাকা।

বাজারে তেলাপিয়া ১০০, পাঙাশ ১২০, চাষের কই ২৫০, পোমা ৪৫০, শোল ৪৫০ ও হাফ কেজি সাইজের প্রতিকেজি ইলিশ ৭৫০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নগরীর নতুন বাজারে কথা হয় স্বপন কুমার নামে এক ক্রেতার সঙ্গে। তিনি বলেন, চাল, ডাল, তেল, আটা ও চিনি ছাড়া কোনো সংসারই চলে না। এসব পণ্যের দামই বাড়তি। সংসারের খরচ টানতে টানতে হাঁপিয়ে উঠেছি। দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে না পেরে আগের চেয়ে চাল কেনা কমিয়েছি।

নগরীর নতুন বাজারের পাইকারি ও খুচরা মুদি জাকির এন্টারপ্রাইজের মালিক বাবুল হাওলাদার জানান, চালের আমদানির শুল্ক কমানোর খবরে শুনেছি মিলগেটে চালের দাম কিছুটা কমেছে। বস্তাপ্রতি হয়তো দাম কমেছে ২০-৩০ টাকা। স্বাভাবিকভাবেই খুচরা বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। আমদানি করা চাল বেশি আসলে দাম কমতে শুরু করবে।

সাইফ আমীন/এএইচ/জেআইএম