জাতীয়

ভ্যাকসিন রফতানিতে ভারত বিধি-নিষেধ আরোপ করেনি : হাইকমিশনার

ভারতের পক্ষ থেকে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ভ্যাকসিন রফতানির ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে ভূমিমন্ত্রী মো. সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাইকমিশনার এ কথা বলেন।

‘অক্সফোর্ডের উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিরাম ইনস্টিটিউটকে আগামী কয়েক মাসের জন্য করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের রফতানি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ,’ সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে এমন সংবাদ প্রকাশিত হয়।

চুক্তির আওতায় সিরামের কাছ থেকে করোনা ভ্যাকসিন পাওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশের।

Advertisement

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাইকমিশনার দোরাইস্বামী বলেন, ‘ভারতের স্বাস্থ্য, বাণিজ্য এবং ওষুধ মন্ত্রণালয়ের কেউই রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞার কথা বলেনি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের ভ্যাকসিন মানবতার জন্য ব্যবহৃত হবে, আমরা বারবার এ কথা বলেছি। আমাদের অগ্রাধিকার ভারত, আমাদের নিজেদের লোকেরা। স্পষ্টতই আমাদের প্রতিবেশীরাও। এর বাইরে আমরা আর কী আশ্বাস দিতে পারি।’

একাধিক সংস্থা করোনা ভ্যাকসিন উৎপাদন করছে জানিয়ে বিক্রম কুমার বলেন, ‘ভ্যাকসিন উৎপাদন প্রক্রিয়াটি কেবলই শুরু হয়েছে। এটি জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে। হাজার হাজার ডোজ বিতরণের জন্য প্রস্তুত, এমনটি বলা যাবে না। এটি একটি সংবেদনশীল পণ্য, স্টক তো রাখা যাবে না। আমি আবার বলছি, ভারত সরকারের পক্ষ থেকে রফতানির ক্ষেত্রে কোনো বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়নি।’

এর আগে ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত আমাদের অনেক ভালো প্রতিবেশী। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্পর্ক একটা ডিফারেন্ট হাইটে (ভিন্ন উচ্চতা) চলে গেছে। সবসময় আমরা একে অপরকে কীভাবে সহযোগিতা করতে পারি, সেটা করছি।’

তিনি বলেন, ‘ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে। তিনি আমাদের ভূমি মন্ত্রণালয়ের রিফর্মগুলো জানতে চেয়েছেন। ভারত অনেক আগে এ ধরনের রিফর্মে হাত দিয়েছে। ডিজিটালাইজেশনের মডেল আমরা ভারতীয় হাইকমিশনারের এলাকা ব্যাঙ্গালোরে দেখেছি। আমাদের ভূমি মন্ত্রণালয়ের ডিজিটালাইজেশন নিয়ে আলোচনা হয়। কীভাবে আরও সহযোগিতা বাড়ানো যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’

Advertisement

আরএমএম/এসএস