মার্কিন পার্লামেন্ট ভবনে হামলাকারী ট্রাম্প সমর্থকদের ‘দেশপ্রেমিক’ উল্লেখ করে টুইটারে এক পোস্ট দিয়ে তা আবার মুছে ফেলেছেন ইভাঙ্কা ট্রাম্প। এই টুইটের স্ক্রিনশট অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ার পর তীব্র সমালোচনার শিকার হয়েছেন তিনি। মার্কিন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এ খবর এসেছে।
Advertisement
ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি টুইট পুনরায় শেয়ার (রিটুইট) করে বুধবার ট্রাম্প-কন্যা লেখেন, ‘আমেরিকান দেশপ্রেমিকগণ- কোনো নিরাপত্তা লঙ্ঘন অথবা আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অসম্মান গ্রহণযোগ্য নয়। সহিংসতা এখনই বন্ধ হতে হবে। দয়া করে শান্তি বজায় রাখুন।’
এই টুইট নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে কিছুক্ষণ পরেই পোস্টটি ডিলিট করে দেন ইভাঙ্কা। তবে এর মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টুইটের স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়ে।
সিএনএনের এক প্রতিবেদক স্ক্রিনশটটি টুইট করে লেখেন, ‘পরিষ্কারভাবে…আপনি বলছেন এই লোকগুলো দেশপ্রেমিক?’
Advertisement
জবাবে ইভাঙ্কা ট্রাম্প লেখেন, ‘না। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ হল দেশপ্রেমিক। সহিংসতা অগ্রহণযোগ্য এবং এর কঠোর সমালোচনা করতে হবে।’
সহিংসতায় এখন পর্যন্ত চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ ৫২ জনকে গ্রেফতার করেছে যাদের অধিকাংশই কারভিউ ভঙ্গ করার দায়ে গ্রেফতার হয়েছেন। মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিপার্টমেন্টের প্রধান রবার্ট কন্টি জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দুটি পাইপ বোমা ও এক কন্টেইনার ভর্তি পেট্রোল বোমা উদ্ধার করেছে।
ওয়াশিংটনে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। ২০ জানুয়ারি নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শপথ নেয়ার কথা রয়েছে।
বুধবার আইন প্রণেতারা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের জয় আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদনের জন্য পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটলে এক যৌথ অধিবেশনে বসেছিলেন। এসময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের শত শত সমর্থক ওই ভবনে ঢুকে পড়ে ভাঙচুর চালান। দুপুরের পরেই নাটকীয় দৃশ্যে দেখা যায়, শত শত বিক্ষোভকারী ভবনটিতে ঢুকে পড়ছে আর পুলিশ কংগ্রেস সদস্যদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিচ্ছে।
Advertisement
দিনের শুরুতে হাজার হাজার ট্রাম্প সমর্থক ‘আমেরিকা বাঁচাও’ নামক একটি গণজমায়েতে অংশ নিতে ওয়াশিংটনে আসে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই জনসভায় ভাষণ দিয়ে জো বাইডেনের বিজয় অনুমোদনের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন।
এমকে/জেআইএম