সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই বিতরণের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে। প্রতিদিন নির্ধারিত সময়ে বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিচ্ছেন। নতুন বই নিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে বাড়ি ফিরছেন শিক্ষার্থীরা। এ কার্যক্রমকে শিক্ষার্থীদের আবারও স্কুলমুখী করার প্রস্তুতি বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
Advertisement
গত ১ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে নতুন বই বিতরণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এবার কেন্দ্রীয়ভাবে বই উৎসব হয়নি। তবে গত ৩১ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী ভার্চ্যুয়ালি বই বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এর পরদিন থেকে সকল স্কুলে বই বিতরণ শুরু করা হয়।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) মহাপরিচালক এ এম মনসুর আলম জাগো নিউজকে বলেন, শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই বিতরণের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে আংশিকভাবে হলেও সশরীরে উপস্থিতির মাধ্যমে ক্লাস শুরু করা হবে।
মহাপরিচালক আরও বলেন, প্রাথমিকের সকল শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে প্রতিদিন বিদ্যালয় খোলা হচ্ছে। শিক্ষকরা উপস্থিত থেকে বই বিতরণ করছেন। মাঠ কর্মকর্তাদের এ কার্যক্রম মনিটরিং করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
Advertisement
অন্যদিকে ১২ দিন ধরে নতুন বছরের বই বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। এ কারণে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো বন্ধ থাকলেও বই নিতে শিক্ষার্থীরা অভিভাবকদের নিয়ে স্কুলে আসছেন। নতুন বই হাতে চোখে-মুখে আনন্দ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন।
মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুক জাগো নিউজকে বলেন, বই বিতরণ কার্যক্রম এখনও চলছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সকল প্রস্তুতিও শেষ। সরকারি ঘোষণা আসলেই স্কুল খুলে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হলে কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা, করোনা সংক্রমণ রোধ, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ নানা ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে তা অনুসরণ করেই ক্লাস নেয়া হবে।
মহাপরিচালক আরও বলেন, বর্তমানে স্কুল খোলা না হলেও আমরা নতুনভাবে টিভি ও অনলাইন ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছি। এর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্টও দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
Advertisement
এমএইচএম/এএএইচ/এমকেএইচ