আবু আফজাল সালেহ
Advertisement
ভাড় বনাম ভাঁড়
ভাড় গিলে খাচ্ছে রসবন পাহাড় পাথর নদী সাগর।ভাঁড় চিবিয়ে খাচ্ছে কবিতা, সমাজইউরোনিয়াম ‘থ্রি নট থ্রি’চাঁদ সূর্যাস্ত।
খেলার কোর্টে দু’জনার ভাগাভাগি—আমরা খেলতে দিচ্ছি।
Advertisement
****
বর্ণিল তৃণভূমি
প্রকৃতি নাচছে সবুজ উপত্যকায়দুলছে গ্রীষ্মের ধূসর তৃণভূমিঘাসের শীষে প্রজাপতি—উড়ন্ত ডানা।
পর্বতে আলো বাড়ছে—আমরা দেরি করে ফেলেছিসূর্যাস্তের রক্তিম-গোল আভায়তারাদের মন ছুঁয়ে দেখতে পারলাম না!
Advertisement
একটু আগেই বৃষ্টি হানা দিয়েছেপারিজাত বুনোফুলদের ওপর—বৃষ্টিধোয়া মেঘে সূর্যের রশ্মিতৃণভূমিতে রঙিন ঢেউ।
ফুলের পাপড়ির ওপর প্রজাপতির নরম হুল—মধু সিঞ্চনবাতাস বইছে, নড়ছে—দুলছে বর্ণিল তৃণভূমি।
****
পায়ের ছাপে বেদনার গল্প
চারিদিকে পর্বতসারি; রাঙ্গামাটির, মিজোরামেরসবুজ কার্পেটে অগণন সবুজ ঢেউ, মেঘদঙ্গলশীতকাল মেঘ ঢালে যেন তুষার টেউ।
এখন নিরিবিলি নেই সাজেকেভোর দুপুর কিংবা রাতে—রাতে বাড়ে কোলাহল, মধ্যরাতেও নিরিবিলি নেইভোরেও থামে না পায়ের ছাপ।
পায়ের ছাপেই সাজেকের বেদনার গল্পসাজেকের মা জাফলং মৃত;তার বোনেরা—রাতারগুল নীলাচল নীলগিরি;শোনে মর্মরিত প্রতিধ্বনি।
****
সহাবস্থান
অন্ধকার কী আলো ধরতে পারে?কিংবা আলো অন্ধকারকে?পারস্পারিক ধরা-ছোঁয়ার বাইরেই থেকে যায়—আলো ও অন্ধকারের খেলা সতত চলমান।
ক্ষমতা ও মমতা কিংবা রাজা ও প্রজার দেওয়ালেকুড়াল বসাবে কে? সাধ্য আছে কার?
এসইউ/এমকেএইচ