আইন-আদালত

সুপ্রিম কোর্টে গ্রিক দেবীর ‘প্রকৃত’ ভাস্কর্য স্থাপনের আবেদন

বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রিক দেবী থেমিসের বর্তমান ভাস্কর্য অপসারণ করে সেখানে প্রকৃত ভাস্কর্য স্থাপনের অনুরোধ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে আবেদন জানিয়েছেন এক আইনজীবী।

Advertisement

বুধবার (৬ জানুয়ারি) আবেদনকারী আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন। এ বিষয়ে তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট মো. আমিনুর রশিদ (রাজু)।

আবেদনে বলা হয়, ‘সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সর্বদা সচেষ্ট। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে গ্রিক দেবী থেমিসের একটি ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে। গ্রিক দেবী থেমিস হলেন প্রাচীন গ্রিক ধর্মের ন্যায়বিচারের দেবী। বর্তমান গ্রিসে এখনো মানুষ প্রাচীন ধর্ম চর্চা করে এবং এই ধর্মের নাম ‘হেলেনিজম’। অন্যদিকে গ্রিসের সরকারি নাম হলো ‘হেলেনিক রিপাবলিক’। বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে গ্রিক দেবীর ভাস্কর্য স্থাপনে কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু সমস্যা হলো এই ভাস্কর্যের সঙ্গে গ্রিক দেবী থেমিসের কোনো মিল নেই।’

আবেদনে আরও বলা হয়, ‘গ্রিক সরকারের কাছে জানতে পেরেছি, বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে যে ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে সেটির সঙ্গে গ্রিক দেবী থেমিসের কোনো মিল নেই। গ্রিক সরকার আবেদনের গুরুত্ব অনুধাবন করে সাড়া দেন। ফলে গ্রিসের জাতীয় প্রত্মতাত্ত্বিক জাদুঘরের প্রধান ড. ডেসপিনা ইগনাটিয়াডো ই-মেইলে একটি চিঠিসহ গ্রিক দেবী থেমিসের প্রকৃত ভাস্কর্যের ছবি প্রেরণ করেন। চিঠিতে তিনি তাদের গ্রিক দেবী থেমিসের বিভিন্ন বিষয় উল্লেখ করাসহ বলেন যে, এ ভাস্কর্য খ্রিস্টপূর্ব ৩০০ বছর আগের।’

Advertisement

আবেদনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এই গ্রিক দেবীর বিকৃত ভাস্কর্য স্থাপনের মাধ্যমে গ্রিকদের ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করা হয়েছে এবং এই দেবীর অবমাননা করা হয়েছে। অপরদিকে গ্রিসের রাষ্ট্রীয় আইন ‘অন দ্য প্রোটেকশন অব এনটিক্স অ্যান্ড কালচারাল হেরিটেজ ইন জেনারেল’ অনুযায়ী মূর্তি/ভাস্কর্যের ক্ষতিসাধন বা বিকৃত করা বেআইনি কাজ। এছাড়া আন্তর্জাতিক আইন ‘কনভেনশন ফর দ্য প্রোটেকশন অব কালচারাল প্রোপার্টি’ অনুযায়ী সাংস্কৃতিক সম্পত্তি সুরক্ষার জন্য উক্ত সাংস্কৃতিক সম্পত্তির যথাযথ নিরাপত্তা ও সম্মান প্রদর্শন করতে হবে।’

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে স্থাপিত গ্রিক দেবী থেমিসের বিকৃত ভাস্কর্য অপসারণ করে প্রকৃত ভাস্কর্য স্থাপনের অনুরোধ জানানো হয়েছে আবেদনে। অন্যথায় এ বিষয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছেন আবেদনকারী আইনজীবী।

এফএইচ/বিএ/এমএস

Advertisement