নির্বাচনী হাওয়া বইছে সিরাজগঞ্জের চার পৌরসভায়। ১৬ জানুয়ারি পৌর নির্বোচন উপলক্ষে ভোটারদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
Advertisement
নির্বাচনকে সামনে রেখে পৌর এলাকার প্রতিটি অলিগলি, দোকানের সামনে ও ফাঁকা জায়গায় ছেয়ে গেছে সাদা-কালো পোস্টারে। সেই সঙ্গে চলছে প্রার্থীদের উঠান বৈঠক, আলোচনা সভা, মিছিল, গণসংযোগ ও মাইকিং।
শহরের বাজার, চায়ের দোকান, রাস্তায় শোভা পাচ্ছে নৌকা, ধানের শীষসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পোস্টার।
সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুস সালাম বলেন, প্রার্থী এবং তাদের সমর্থকরা প্রতিদিন বাসায় এসে লিফলেট বিতরণ করছেন। সেই সঙ্গে চলছে ভোট প্রার্থনা। প্রার্থীদের নামে ঘন ঘন শ্লোগান ও মিছিল চলছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের পোস্টার লক্ষণীয়। তবে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের এখনো খুব একটা দেখা মেলেনি।
Advertisement
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১৬ জানুয়ারি জেলার পাঁচটি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা। তবে কাজিপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন যা শুধু ঘোষণার অপেক্ষায়। বাকি চার পৌরসভায় নির্বাচনের কাজ চলছে। চার পৌরসভায় মেয়র হতে লড়ছেন ৯ মেয়র প্রার্থী।
এদিকে, বছরজুড়ে অলস সময় পার করলেও নির্বাচন ঘিরে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন জেলার প্রিন্টিং প্রেস শ্রমিকরা। শহরের হাজেরা প্রিন্টিং প্রেস, অনিক প্রেস, জাগত প্রেস ও আশা প্রেসে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পোস্টার ছাপানোর কাছ চলছে।
সিরাজগঞ্জ আশা মুদ্রণের পরিচালক আব্দুল মজিদ সরকার বলেন, এবারের নির্বাচনে কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী বেশি হওয়ায় প্রায় চব্বিশ ঘণ্টাই কাজ করতে হচ্ছে। আশা করি ব্যবসাও ভালো হবে।
বিএনপির মেয়র প্রার্থী সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, সরাসরি নির্বাচনী প্রচারে বাধা না দিলেও ভোটারদের হুমকী দিচ্ছে, পোস্টার ছিড়ে ফেলেছে। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ধানের শীষ জয় লাভ করবে।
Advertisement
তবে ক্ষমতাশীন দলের (নৌকা) প্রতিক মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা বলেন, কোনো পোস্টার ছেঁড়ার ঘটনা ঘটেনি। কাউকে হুমকি দেয়ার প্রশ্নই আসে না। বিএনপির সব প্রার্থী অবাধে প্রচারণা চালাচ্ছে। নৌকার জয় হবে ইনশাআল্লাহ।
সিরাজগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসার মো. আবুল হোসেন বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে সব প্রস্তুতি চলছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সে দিকে নজর রাখা হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিন্ধা আকতার বলেন, ভোটাররা যেন শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারে সেই বিষয়ে পুলিশ সাদা পোশাকেও মাঠে থাকবে। পৌরসভা নির্বাচনকে ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।
ইউসুফ দেওয়ান রাজু/এএইচ/এমএস