বিশেষ প্রতিবেদন

২০৩৫ সালের মধ্যে থাইল্যান্ডের পর্যায়ে পৌঁছে যাবে বাংলাদেশ

উন্নয়নের যে ধারা, তা অব্যাহত থাকলে ২০৩৫ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে থাইল্যান্ডের পর্যায়ে পৌঁছে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দফতর বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।

Advertisement

তিনি মনে করেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের অবস্থান দৃঢ় আছে বলেই পদ্মা সেতুর মতো মহাপ্রকল্প নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা রাষ্ট্র পরিচালনার এক যুগপূর্তি হয়েছে বুধবার (৬ জানুয়ারি)। যে প্রতিজ্ঞার মধ্য দিয়ে সরকার গঠন করা, তার কতটুকু বাস্তবায়ন হলো? গণতন্ত্র, ভোট, মানবিক উন্নয়ন প্রশ্নে সরকারের অবস্থান কী? এমন নানা প্রসঙ্গ নিয়ে বিপ্লব বড়ুয়া মুখোমুখি হন জাগো নিউজের।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে যখন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তখন প্রতিনিয়ত আমাদের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হয়। সভ্যতার এমন সময়েও গুজব মোকাবিলা করতে হয়। আমাদের জন্য এর চেয়ে আর দুর্ভাগ্য কী হতে পারে! এটিই আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করি।

Advertisement

সম্প্রতি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নির্বিচারে মিথ্যাচার চালানো হয়। অথচ করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) এমন দিনেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। কোনো রাজনৈতিক দল বাংলাদেশে এমন দৃষ্টান্ত দেখাতে পারেনি।’

এই রাজনীতিক বলেন, শেখ হাসিনার সরকার ২০০৮ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় এসে যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে, তা ১৯৭৫ সালের পর আর কোনো সরকার করতে পারেনি। সরকার প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যাচ্ছে। গত বছর আমরা যে টার্গেট নিয়ে এগিয়ে যেতে চেয়েছিলাম, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি তা অনেকটাই থমকে দেয়। সীমিত সম্পদ নিয়ে মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রধানমন্ত্রী যে সফলতা রেখেছেন, তা বিস্ময়ের মতো। ‘প্রধানমন্ত্রী নিজের উদ্যোগে করোনাকালীন যে প্রণোদনা দিয়েছেন, তার প্রশংসা মিলছে বিশ্বেও। মহামারির সময়ও রিজার্ভ, রেমিট্যান্স রেকর্ড গড়েছে। মাথাপিছু জিডিপিতে ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ।’

দুর্নীতি-দুঃশাসন সরকারের অর্জনকে ম্লান করছে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট। আমরা ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় তা দেখতে পেয়েছি। দলীয় নেতারাও এই প্রশ্নে ছাড় পাননি। তাদের অনেকেই কারাগারে আছেন।

Advertisement

‘যারা দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলছেন, তাদের রাজনৈতিক পরিচয় কী, সেটা আগে দেখতে হবে। তাদের অতীতও দেখতে হবে। বিএনপির সময়ই টানা পাঁচবার দুর্নীতিতে বাংলাদেশ প্রথম হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার বরং দুর্নীতির পথ বন্ধ করে দিচ্ছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।’বিশ্বকে তাক লাগিয়ে নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণ করছে বাংলাদেশ

বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, এরপরও আমি বলছি না যে, দুর্নীতি একেবারে হচ্ছে না। কিন্তু মনে রাখতে হবে সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স অবস্থানে আছে।

স্বাধীনতা, জাতীয়তাবাদ প্রশ্নে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিধা থাকার কারণেই বাংলাদেশ শক্তিশালী বিরোধী দল থেকে বঞ্চিত, উল্লেখ করে বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, বিরোধী জোট মুক্তিযুদ্ধকে স্বীকার করতে চায় না, জাতির পিতাকে স্বীকার করতে চায় না। এই শক্তি ক্ষমতায় এসে বারবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করেছে, সংবিধানবিরোধী কাজ করেছে। এই অপশক্তিকে নির্বাসনে না পাঠানো পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের বিকল্প বলয় গড়ে তোলা সম্ভব নয়। এর দায় শুধু আওয়ামী লীগের নয়। এটি সবার দায়িত্ব। এই প্রশ্নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে—বলেন প্রধানমন্ত্রীর এ বিশেষ সহকারী।

আওয়ামী লীগের উপ-কমিটি গঠন প্রসঙ্গে দফতর সম্পাদক বলেন, দলের মধ্যে অপেক্ষাকৃত তরুণ এবং ত্যাগীদের এবার জায়গা দেয়া হয়েছে। বিতর্কিত কোনো নেতাকে আমরা কমিটিতে পদ দেইনি। এ কারণে এবার বিতর্কও নেই বলে বিশ্বাস করি। প্রবীণদের পথ অনুসরণ করেই তরুণদের নেতৃত্বে আনা হচ্ছে। এতে একটি মেলবন্ধও তৈরি হয়েছে।

এএসএস/এইচএ/জেআইএম